উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
কোন ডিলার কত দিনে গ্যাস সাপ্লাই করছেন, তার হিসেব থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির কাছে। সেই মতো রেটিং হয় ডিলারদের। বুকিংয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিলিন্ডার ডেলিভারি হলে, পাঁচ তারা রেটিং মেলে। যত দেরি হয়, রেটিং তত কমে। দুই এবং একটি তারা পেলে, সেই ডিলারের পরিষেবা খারাপ হিসেবে চিহ্নিত হয়। বছরের মধ্যে ছ’মাস যদি ডিলারদের রেকর্ড খারাপ হিসেবে থাকে, তাহলে নগদ দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করবে তেল সংস্থা। বাইরের রাজ্যগুলিতে তা শুরু হলেও, বাংলায় এখনও কোনও ডিলারই এই জরিমানার মুখে পড়েননি বলেই ডিলারদের সূত্রে জানা গিয়েছে। এবার এখানেও তা চালু করতে চায় তেল সংস্থাগুলি।
অতি সম্প্রতি গ্যাস বুকিংয়ের সময় গ্রাহকরা যে এসএমএস পাচ্ছেন, সেখানেই পরিষেবা সংক্রান্ত ‘ফিডব্যাক’ দেওয়ার সুযোগ থাকছে। সেখানে মূলত চারটি তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে। সিলিন্ডারের সিল ঠিক আছে কি না, তার ওজন মেপে দেওয়া হচ্ছে কি না, সিলিন্ডারের লিকেজ চেক করে দেওয়া হচ্ছে কি না এবং সিলিন্ডারের দাম শুধু ক্যাশমেমো উল্লিখিত দরেই নেওয়া হচ্ছে কি না। পাশাপাশি ডিলারকে রেটিং করার সুযোগ থাকছে।
ইন্ডিয়ান অয়েলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার (এলপিজি) অভিজিৎ দে বলেন, সিলিন্ডার ডেলিভারির ক্ষেত্রে যদি দেরি হয়, তাহলে ডিলাররা শাস্তির মুখে পড়তে পারেন। কিন্তু ডেলিভারি ছাড়াও ডিলারের তরফে আরও কয়েকটি পরিষেবা দেওয়ার কথা গ্রাহককে। তার মধ্যে যেমন আছে সিলিন্ডার মেপে দেওয়া, তেমনই আছে তার সিল বা লিক চেক করে দেওয়া। আমরা এবার সেই বিষয়গুলির উপর আরও জোর দিতে চাই। গ্রাহক আদৌ সেই পরিষেবা পাচ্ছেন কি না, তা জানতেই সার্ভে করা হচ্ছে। পরিষেবায় গাফিলতি থাকলে, প্রথমেই শাস্তি দেওয়া হবে না ডিলারদের। তাদের সেই বিষয়ে সজাগ করা হবে। কিন্তু তার পরেও যদি খামতি থেকে যায়, তাহলে শাস্তি পেতে হতে পারে।
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির এই পদক্ষেপে অবশ্য একেবারেই সন্তুষ্ট নন ডিলাররা। তাঁদের কথায়, তেল সংস্থাগুলি কীভাবে নিজেদের মতো করে শাস্তির বিধান দিতে পারে, তা তাদের অজানা। এই বিষয়ে তাঁরা আদালতে যাওয়ার কথাও চিন্তাভাবনা করছেন।