বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বর্তমানে রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি থেকে সর্বোচ্চ ৪, ৮৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেতে পারে। তার উপরে রয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, রাজ্যে সময়ভেদে বিদ্যুৎ চাহিদার পরিমাণ কমবেশি হয়। চাহিদা যেমন থাকে, সেই মতোই উন্নয়ন নিগমের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। আগামী দিনে বিদ্যুতের সার্বিক চাহিদা বাড়বে ধরে নিয়েই নয়া ইউনিটটি তৈরি করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রের খবর, সাগরদিঘিতে ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ তৈরির চারটি ইউনিট রয়েছে। তার মধ্যে দু’টি ইউনিট থেকে ৫০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়। বাকি দু’টি ইউনিটের ক্ষমতা ৩০০ মেগাওয়াট করে। অর্থাৎ, সাগরদিঘি কেন্দ্র থেকেই ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির সুযোগ রয়েছে। নতুন অর্থাৎ এই কেন্দ্রের পঞ্চম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করা যাবে। এই ইউনিটটি হবে অত্যাধুনিক। বিদ্যুতের পরিভাষায় ‘সুপারক্রিটিক্যাল থার্মাল পাওয়ার ইউনিট’। এটি পরিবেশ বান্ধবও। ইউনিটটি তৈরি করার জন্য ৩,৫০০ কোটি টাকার বরাত পেয়েছে ভেল। তারা ইউনিটের ডিজাইন, টারবাইন, বয়লার, ছাইয়ের প্ল্যান্ট সহ নানা পরিকাঠামো তৈরি করবে। দপ্তরের এক কর্তা বলেন, আগামী ছ’মাসের মধ্যেই ইউনিটটি তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। কারণ, সেখানে ইউনিট তৈরির জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী নিয়ে যেতে হবে। তার জন্য মোটের উপর ছ’মাস লাগতে পারে। ইউনিটটির জন্য পরিবেশ মন্ত্রকের একটি ছাড়পত্র পাওয়াই বাকি রয়েছে। শীঘ্রই তা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের এটাই প্রথম উন্নত প্রযুক্তির অত্যাধুনিক ইউনিট। আগামী তিন থেকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তার কাজ শেষ হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বেশি। তিনি বলেন, রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা সুষ্ঠুভাবে মেটানো যাচ্ছে। কোথাওই বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই। পুজো কিংবা গরমের সময়ে যখন বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ে, তখনও সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থা থেকে বর্তমানে কয়লার জোগান নিয়মিত নয়। কয়লার জোগান নিশ্চিত করতে নিজেদের খনিগুলি থেকে যাতে দ্রুত কয়লা তোলা যায়, তার চেষ্টা চলছে।