কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
কলকাতা বন্দরে যে জাহাজগুলি এসেছে, তাতে বেশি পণ্য ভর্তি কন্টেনারই বেশি। গত কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতা বন্দরে মোট ১,১৪৭টি কন্টেনার (টিইইউ) জাহাজ থেকে নামানো হয়েছে। এই বন্দরে তুলনামূলকভাবে কম হলেও ‘বাল্ক কার্গো’ নেমেছে প্রায় ৫০০ টন।
হলদিয়া বন্দরে বাল্ক কার্গো বেশি আসে। এর মধ্যে থাকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লা, আকরিক
লোহা, এলপিজি, হাই স্পিড জ্বালানি, ভোজ্য তেল, ফ্লাই অ্যাশ ইত্যাদি। ইস্পাত, সিমেন্ট সহ বিভিন্ন শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালও এই বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা হয়। গত কয়েক দিনে হলদিয়া বন্দরে মোট প্রায় ১ লক্ষ ৩ হাজার ৮৪ টন পণ্য নেমেছে। এরমধ্যে ১৮,৬৯০ টন এলপিজি, ২৭,২৯৬
টন হাই স্পিড ডিজেল ১,৫৬৯ টন ভোজ্য তেল, ২২,৯৫০ টন কয়লা, ৩০,৫৩০ টন লোহা আকরিক ও ১,৪৫০ টন ফ্লাই অ্যাশ আছে। হলদিয়া বন্দরে ৩৬টি কন্টেনার নেমেছে।
কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, জাহাজ মন্ত্রকের গাইডলাইন মেনেই কাজকর্ম চলছে। করোনা আক্রান্ত কয়েকটি নির্দিষ্ট রাষ্ট্রের বন্দর থেকে জাহাজ এলে সেটিকে অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বন্দর থেকে জাহাজ ছাড়ার সময় থেকে এই ১৪ দিনের হিসেব কষা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত চীন ছাড়া করোনা চিহ্নিত কোনও দেশের জাহাজ এই দুই বন্দরে আসেনি। চীন থেকে যে দুটি জাহাজ এসেছিলও, সেগুলি বেশ কিছুদিন আগে। ওই জাহাজ দুটিকে স্যান্ডহেড ও সাগরে আটকে রাখা হয়। সেখানে গিয়ে কলকাতা বন্দরের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জাহাজের নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তাঁরা ফিট সার্টিফিকেট দেওয়ার পর জাহাজ দুটি বন্দরে আসে। অন্য জাহাজগুলিও বন্দরে আসার পর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। ফিট সার্টিফিকেট দেওয়ার পর জাহাজ থেকে পণ্য নামানো-ওঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। গত প্রায় ২৫ দিন ধরে জাহাজের নাবিকদের বন্দরে নামার জন্য প্রয়োজনীয় শোর সার্টিফিকেট ইস্যু করা হচ্ছে না। জাহাজের পণ্য নামানো-ওঠানো ও অন্যান্য কাজের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনেই কর্মীরা জাহাজে উঠছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় ও শিল্প সংক্রান্ত জিনিসের সঙ্কট এড়াতেই পণ্যবাহী জাহাজ আসার উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। তবে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বন্দরে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
বন্দর কর্তৃপক্ষ রোগীদের চিকিৎসার জন্য কলকাতার নিজস্ব হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড খুলেছে। রিমাউন্ট রোডে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে কোনও জাহাজ বা কোনও বন্দর কর্মী করোনা আক্রান্ত বলে এখনও চিহ্নিত হয়নি। -নিজস্ব চিত্র