খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে নার্সারি তৈরির জন্য এমজিএনআরজিইএস প্রকল্পকে কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রতিটি নার্সারির জন্য পঞ্চায়েতের তরফে ৫০০-৭০০ বর্গফুট জায়গা নির্দিষ্ট করা হচ্ছে। এরপর নার্সারির জন্য অনুমোদন ব্লক অফিসগুলির মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে জেলাস্তরে। পরবর্তীতে জেলা থেকে সবুজ সঙ্কেত মিললেই প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। আরামবাগ মহকুমার অধীনে থাকা আরামবাগ, পুরশুড়া, খানাকুল-১ ও ২, গোঘাট-১ ও ২ মিলিয়ে মোট ছ’টি ব্লক রয়েছে। এই ছ’টি ব্লকের অধীনে রয়েছে ৬৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত। ইতিমধ্যে অধিকাংশ গ্রামপঞ্চায়েতে নার্সারি তৈরির জন্য জমি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। অনেক জায়গাতেই আবার আগে থেকেই জায়গা নির্দিষ্ট করা ছিল। আরামবাগ এসডিও অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে নার্সারি তৈরির অনুমোদন জেলাস্তরে পাঠানো হলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাড়পত্র মিলছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আরামবাগের রবীন্দ্র ভবনে মহকুমার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এনআরজিএস প্রকল্পের আধিকারিকদের নিয়ে ১০০দিনের কাজে গতি আনতে বৈঠকে বসেন হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। প্রশাসনিক ওই বৈঠক থেকেই আরামবাগ মহকুমাজুড়ে পঞ্চায়েতগুলিতে নার্সারি তৈরির নির্দেশ দেন জেলাশাসক।
জানা গিয়েছে, নার্সারি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার জন্য পঞ্চায়েত তরফে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের চারাগাছ রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণের জন্য সাহায্য নেওয়া হবে হর্টিকালচার দপ্তরের। এবিষয়ে আরামবাগ মহকুমা দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, এর ফলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি উপকৃত হবেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত নার্সারিগুলি থেকে ১০০দিনের প্রকল্পে ও সবুজমালা প্রকল্পে গাছ সরবরাহ করা হবে। ওই নার্সারিগুলি থেকে পাওয়া যাবে আকাশমণি, মেহগনি, সেগুন, সোনাঝুরি, নিম, পেয়ারা, আম, কাঁঠাল, জাম, গাছ। তেমনই রাখা হবে ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে আমলকী, হরীতকী ও বয়রার মতো গাছ।
কামারপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তপন মণ্ডল বলেন, ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জমি চিহ্নিতকরণের কাজ হয়েছে। খুব শীঘ্রই নার্সারি তৈরির কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি খানাকুল-১ ব্লকের অধীনে থাকা ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হায়দার শেখ বলেন, আমাদের পঞ্চায়েতের ৬০০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে মূলত সবুজ বাঁচানোর লক্ষ্যকে মাথায় রেখে নার্সারির কাজ চলছে।