বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এজন্য ব্লিচিং পাউডার ২ গ্রাম বা ৪০ শতাংশ ফর্মালিন দ্রবণ ৪০ ২০ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে মাটিতে ছড়িয়ে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। মাটিতে যেন সূর্যালোক পড়ে। নতুন বরজের জন্য এলাকা থেকেই ৩-৪ বছরের পুরনো ও নিরোগ বরজের চারা সংগ্রহ করতে হবে। যে বরজ থেকে চারা নেওয়া হবে, সেই বরজে ১৫ দিন অন্তর দু’বার কপার অক্সিক্লোরাইড ৫০ শতাংশ ২ গ্রাম প্রতি লিটার জলে ও স্ট্রেপটোসাইক্লিন ২ গ্রাম ১০ লিটার কিংবা মেটাল্যাক্সিল ৮ শতাংশ ও ম্যানকোজেব ৬৪ শতাংশ আড়াই গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে, সঙ্গে স্ট্রেপটোসাইক্লিন ০.২৫ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে মিশ্র প্রতিষেধক হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে। এতে সুস্থ চারা পাওয়া যাবে। পানের বরজের আশপাশে বেগুন জাতীয় কোনও ফসল লাগানো উচিত নয়। তাতে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ আক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। পানের বরজে যদি পুকুরের জল সেচের জন্য ব্যবহার করা হয়, তা হলে মাসে অন্তত একবার ওই পুকুরে চুন ও পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ব্যবহার করতে হবে। পরিচর্যার সময় পান গাছে যাতে ক্ষত সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, ওই ক্ষত দিয়ে আঙ্গারি রোগের জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।
পান তোলা ও শাখা-প্রশাখা কাটার পরই প্রতিষেধক হিসেবে একটি ছত্রাকনাশক ও একটি ব্যাকটেরিয়া নাশক প্রয়োগ করতে হবে। পানের বরজে কখনও কাঁচা খোল ব্যবহার করা উচিত নয়। ওষুধ প্রয়োগের সময় পানের বরজে যে খড়, পাটকাঠি, বাঁশ দিয়ে আচ্ছাদন ও অবলম্বন করা থাকে, তাতেও ওষুধ দিতে হবে। পান সরাসরি খাওয়া হয়।
ফলে কীটনাশক প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। সবুজ ও নীল লেবেলযুক্ত ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে। হলুদ বা লাল লেবেলযুক্ত ওষুধ কোনওভাবে ব্যবহার করা যাবে না। ওষুধ প্রয়োগের অন্তত ১৫ দিন পর পান তুলে তা বাজারজাত করতে হবে।