বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
অনেক কৃষক পেঁয়াজের চাষে শেষ সেচের সময় ওই জমিতে তিলের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই তিল গাছ বেশ বড়ও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে ওইসব তিলগাছের বেশিরভাগই মারা গিয়েছে। ফলে কৃষককে এখন সেই তিল গাছ ভেঙে এখন পাট বুনতে হচ্ছে। এই সময় বাজারে বেগুনের বেশ ভালোই দাম থাকে। কিন্তু বারবার বৃষ্টির জেরে গাছের গোড়ায় জল জমে গোড়াপচা রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক কৃষকের জমিতে বেগুন গাছ মারা গিয়েছে।
অনেকে এইসময় বেগুনের চারা বসিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে ওইসব বেগুন চারাও বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইভাবে নষ্ট হয়েছে লঙ্কাগাছও। কৃষকরা জানিয়েছেন, যাঁরা প্রাক খরিফে তিল বুনেছিলেন, ঝড়-বৃষ্টির জেরে সেই তিল গাছ নুইয়ে পড়েছে। তাছাড়া কয়েকদিন অন্তর কালবৈশাখীর জেরে পাট বুনতেও অনেক জায়গায় দেরি হয়ে গিয়েছে। কারণ, ঘন ঘন বৃষ্টির জেরে মাটিতে জো আসতে দেরি হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদে অনেক জায়গাতেই প্রাক-খরিফ মরশুমে চিনাবাদাম চাষ হয়। কিন্তু এবার চিনাবাদাম চাষে কৃষকদের অনেকের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, চৈত্রে ঘন ঘন বৃষ্টির জেরে মাটি যথেষ্টই ভেজা রয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে চিনা বাদামের বীজ বুনলে ভালো অঙ্কুরোদগম হবে না। মাটিতে বেশি রস থাকলে বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া গত কয়েক বছর ধরে চিনাবাদামের দামও কমতে শুরু করেছে। ২০১৪ সালে ৫ হাজার টাকা কুইন্টাল দরে চিনাবাদাম বিক্রি করেছিলেন মুর্শিদাবাদের চাষিরা। কিন্তু গত বছর সেই দাম কমে দাঁড়ায় কুইন্টাল প্রতি ৩ হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। মুর্শিদাবাদে চিনাবাদাম চাষ করা কৃষকদের বক্তব্য, তাঁরা মূলত ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে মার্চের ১৫ তারিখের মধ্যে চিনাবাদাম লাগিয়ে ফেলেন। কিছু কৃষক অবশ্য এপ্রিলেও চিনাবাদাম বোনেন। জুন থেকে ফসল উঠতে শুরু করে। কিন্তু সেইসময় বৃষ্টি হয়ে গেলে বাদাম তুলতে সমস্যা হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া দু’নম্বর ব্লকের ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাষি রঞ্জিত পাল জানিয়েছেন, এবার তিনি ২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন। নিজেরাই বীজ থেকে চারা তৈরি করে নিয়েছিলেন। সেকারণে চাষের খরচ একটু কম হয়েছিল। তবুও এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে প্রায় ১২ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে যায়। ভালো ফলন হওয়ায় আশা করেছিলেন তা বিক্রি করে চাষের খরচ উঠে যাবে। এবং ঘরে কিছু লাভও হবে। কিন্তু এখন কান্নাকাটি অবস্থা।