কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
দপ্তর সূত্রের খবর, বকেয়া রোড ট্যাক্স মেটানোর জন্যও একইরকম একটি স্কিম আনতে চলেছে রাজ্য। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার কথা। সেই স্কিমেও বকেয়া রোড ট্যাক্সের জরিমানা মকুব করা হবে বলে খবর। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই স্কিমের সুবিধা নেওয়া যাবে। সিএফ-এর স্কিমটির সময়সীমাও আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় মোটর ভেহিকেলস রুলসের সংশোধনী আনে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। সেই সংশোধনীর মাধ্যমেই নির্ধারিত সময়ে গাড়ির সিএফ নবীকরণ না করালে প্রতি দিনের জন্য ৫০ টাকা করে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয় রাজ্যগুলিকে। সেই মতো বিভিন্ন রাজ্যেই অতিরিক্ত ফি নেওয়া শুরু হয়। কিন্তু তাতে দেখা যায়, অনেকেই সিএফ করাচ্ছেন না। জরিমানার অঙ্ক বাড়তে থাকায় তাঁরা মোটর ভেহিকেলসের অফিসমুখো হতে চাইছেন না। দপ্তরের এক কর্তা বলেন, যাত্রী সাধারণের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করেই সিএফ সংক্রান্ত স্কিমটি আনা হয়। কারণ, একটি হিসেবে দেখা গিয়েছিল, রাজ্যজুড়ে দেড় লক্ষেরও বেশি যানবাহন যথাযথ ‘সার্টিফিকেট অব ফিটনেস’ (সিএফ) ছাড়াই চলাচল করছে। সিএফ ছাড়া যানবাহন রাস্তায় চলায় সাধারণ যাত্রীদের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল। সিএফ স্কিম অনুযায়ী ৩০ দিন বা তার থেকে বেশি দেরির ক্ষেত্রে সর্বাধিক এককালীন অতিরিক্ত ফি বা জরিমানা বাবদ মাত্র ১৫০০ টাকা জমা দিলেই তা পুনর্নবীকরণ করা যাবে।
কেবল সিএফই নয়, কিছু দিন আগের হিসেব, রাজ্যজুড়ে কমবেশি ৮০০ কোটি টাকার রোড ট্যাক্সও বকেয়া পড়ে রয়েছে। সার্বিক বিষয়টি বিবেচনা করেই রোড ট্যাক্স সংক্রান্ত বিশেষ স্কিমটি আনা হচ্ছে।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, গত ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরের রাজ্যের স্কিমের অধীনে বেলতলা, বেহালা, কসবা এবং সল্টলেক মোটর ভেহিকেলস অফিস থেকেই মোট ২,৮৩০টি যানবাহনের সিএফ মিটিয়েছেন মালিকরা। তা থেকে রাজ্যের কোষাগারে জমা পড়েছে ৩২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। অবশ্য গোটা রাজ্যের ক্ষেত্রে জমা পড়া অর্থের পরিমাণ অনেকটাই বেশি।
এ নিয়ে অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, আসলে অনেকেরই রোড ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে। রোড ট্যাক্স না মেটালে সিএফ হবে না। তাই অনেকেই রাজ্যের এই স্কিমের সুযোগ নেননি। সিএফ-এর মতোই বকেয়া রোড ট্যাক্স নিয়েও একটি স্কিম আনার দাবি করেছিলাম আমরা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, সিএফের সঙ্গে রোড ট্যাক্স নিয়ে একটি স্কিম আনা হলে সুবিধা হয়। সরকার এবার সেটাই আনতে চলেছে।