পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল বা ক্যাব। মুসলিম লিগের হয়ে আইনজীবী পল্লবী প্রতাপ ক্যাবের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারির আবেদন করেছেন। তাঁর দাবি, সংবিধানের প্রধান কাঠামোতে আঘাত করছে ক্যাব। হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দিতে গিয়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন মুসলিমরা। পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘তাঁরা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধী নন। কিন্তু এই বিলে ধর্মের নামে স্পষ্টতই বিভাজন করা হয়েছে। যার জেরে একটি জাতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে সরকার। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে জাত, ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন চলবে না। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে বিচার করতে হবে।’ একইসঙ্গে মুসলিম লিগের প্রশ্ন, আফগানিস্তান বা পাকিস্তান থেকে শুধু হিন্দু, শিখরা নন। আহমদিয়াস, শিয়া এবং হাজারাসদের শরণার্থী হয়ে এদেশে চলে আসার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, নেপাল এবং ভুটান থেকেও বহু মানুষ অত্যাচারিত হয়ে এদেশে শরণার্থী হয়ে এসেছেন। তাঁদের কথা কেন বিলে উল্লেখ করা হয়নি?
বুধবার রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। মোট ২২৪ জন সাংসদের মধ্যে বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১২৫ জন। বিপক্ষে ৯৯। সেই অঙ্কে বিলটি শেষ পর্যন্ত পাশ করিয়ে নিয়েছে শাসকদল। বিলটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রতিটি বিরোধী দল। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আশ্বাস, বিলটি নিয়ে মুসলিমদের আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।