পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর কোপ পড়তে পারে বলে নানা মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তা সত্ত্বেও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নেতৃত্বাধীন জেডিইউ ওই বিলকে সমর্থন করেছে। প্রশান্ত কিশোর দলের এই অবস্থানেরই বিরোধিতা করেছেন। তিনি এদিন বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল ক্যাব-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব মঞ্জুর করা হবে এবং কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। কিন্তু সত্যিটা হল, এনআরসি এবং ক্যাব হল এমন এক যৌথ উদ্যোগ, যার মাধ্যমে সরকার সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভাজন করতে পারবে।
কিশোর ছাড়াও জেডিইউয়ের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক পবন কে ভার্মা ক্যাব-এর বিরোধিতা করেছেন। লোকসভায় জেডিইউ ওই বিলকে সমর্থন করেছে। তবে রাজ্যসভায় যাতে দল অবস্থান বদল করে, সে ব্যাপারে ভার্মা নীতীশকে আর্জি জানিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি এদিন নতুন কোনও মন্তব্য করেননি।
কিশোর বা ভার্মার ক্যাব বিরোধী মন্তব্যের দায় অবশ্য দল নেয়নি। বিহারের মন্ত্রী তথা নীতীশের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সঞ্জয় ঝা ও রাজ্যসভার সাংসদ বশিষ্ট নারায়ণ সিং আগেই দলের ওই দুই নেতার মন্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত মতামত’ বলে জেডিইউয়ের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন। ইতিমধ্যে কিশোরের নাম না করে জেডিইউয়ের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী নীরজ কুমার তাঁর মন্তব্যের সমালোচনা করেন। তিনি নীতীশ কুমারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘নীতীশ ধর্মনিরপেক্ষ এক চিন্তাধারার মানুষ। এবং তাঁর ভাবমূর্তি আয়নার মতো স্বচ্ছ। উল্লেখ্য, ক্যাব নিয়ে জেডিইউয়ের অবস্থানের সমালোচনা করে কিশোর বুধবার ২০১৫ সালের ফলাফলের কথা উল্লেখ করেছিলেন। জেডিইউ যে ধর্মনিরপেক্ষ এবং গান্ধীবাদী আদর্শ মেনে চলে, তাও তিনি দলের নেতৃত্বকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। কিশোরের এই কটাক্ষেরই এদিন জবাব নীরজ কুমার।