পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
আজই পাশ করানো বিল পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ আইনে পরিণত হয়ে যাবে। আর তৎক্ষণাৎ ভারতের নাগরিকত্ব আইনে সংযুক্ত হবে নতুন এক বিধি। সেই বিধি অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম সম্প্রদায়ের সব মানুষ ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। শুধু একটাই শর্ত, ভারতে আসার পর একটানা ৫ বছর থাকতে হবে অধিবাসী হয়ে। নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কোনও বৈধ নথির প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড না থাকলেও ওইসব দেশ থেকে আসা অমুসলিম যে কোনও মানুষকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
লোকসভায় সরকারের বিপুল গরিষ্ঠতা রয়েছে। রাজ্যসভায় নেই। তাই লোকসভা নিয়ে নিশ্চিত থাকলেও রাজ্যসভায় বিল পাশ নিয়ে কিছুটা টেনশনে ছিল বিজেপি। কিন্তু আজ রাজ্যসভায় ভোটাভুটিতে শিবসেনা বিলের পক্ষে ভোট না দিলেও সরকারের পক্ষে গরিষ্ঠতা জোগাড় করা কোনও সমস্যাই হয়নি। এনডিএর বাইরের একঝাঁক দল এবং ১৪ জন নির্দল এমপির সমর্থন পেয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে পাশ করিয়ে নিতে সমর্থ হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বস্তত প্রথম মোদি সরকারের সঙ্গে দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রধান পার্থক্য হল দ্বিতীয় মোদি সরকারকে রাজ্যসভায় কোনও বিল পাশ করানো নিয়ে একবারও চিন্তা করতে হচ্ছে না। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় বলেছেন, আমাদের সরকার নেহাৎ সরকার চালাতে আসেনি। ৭০ বছরের ভুল সংশোধন করছি আমরা। একের পর এক। দেশকে নতুন করে সাজাচ্ছেন মোদিজি। আমাদের এসব বিল ভোটের জন্য আনতে হয় না। মোদিজির জনপ্রিয়তাই যথেষ্ট আমাদের ভোটে জয়ের জন্য। অমিত শাহ বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ করে বলেন, মুসলিমদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কোনও মুসলিমের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সব থেকে বেশি বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সেকথা মনে রেখেই সম্ভবত অমিত শাহ দফায় দফায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। কখনও তিনি বলেন, ২০০৫ সালে মমতা নিজেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। আবার কখনও বলেন, বাংলা সহ গোটা দেশে এবার চালু হবে নাগরিকত্ব আইন।
সংসদের লড়াই শেষ। এবার প্রশ্ন দেশজুড়ে এনআরসি কবে? বিরোধীদের পরবর্তী গন্তব্য সম্ভবত সুপ্রিম কোর্ট। আর কেন্দ্রের পরবর্তী এজেন্ডা? অভিন্ন দেওয়ানি বিধি?