পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
এদিন সকালে ওই এলাকায় সাফাইকর্মীরা ড্রেনে বাঁধা অবস্থায় পুঁটুলি দেখতে পান। অনেকে তা দেখে আরেকটি দেহ হতে পারে বলে সন্দেহ করেন। পরে দেখা যায় তা বাঁধা অবস্থায় থাকা রক্তমাখা বিছানা। বাগুইআটি থানার পুলিস এসে তা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দুপুরে সেখানে ডগ স্কোয়াড আসে। পুলিস কুকুর ঘটনাস্থল ঝিলপাড়ের বিবি ব্লক থেকে বিসি ব্লকের দিকে গিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে থমকে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রেমের সম্পর্কজনিত বিষয় বা বন্ধুদের মধ্যে কোনও গণ্ডগোল হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ থেকে পাওয়া তথ্য ও মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন মিলিয়ে দেখা হবে। পুলিস সূত্রের বক্তব্য, আমরা সবরকম সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছি।
বুধবার রাতেই নিমতলা শ্মশানে রাজা দাসের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। এদিন ঝিলপাড় এলাকা ছিল শুনশান। রাতেও পুলিসের টহল চলেছে এলাকায়। এদিন এই খুন নিয়েই চর্চা চলেছে বিভিন্ন জায়গায়। দুপুরে মৃত রাজা দাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল তা তালাবন্ধ রয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কাল রাতে বার তিনেক এলাকায় পুলিসের গাড়িকে টহল দিতে দেখেছি। আমরা চাই এই টহলদারি যেন সবসময় বজায় থাকে। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, এদিন দুপুর ১টা নাগাদ পুলিস কুকুর ঘটনাস্থল থেকে ছুটে বিসি ব্লক হয়ে যে রাস্তাটা অর্জুনপুরের দিকে যাচ্ছে সেদিক দিয়ে এগিয়ে যায়। এরপর দেশবন্ধুনগর হাসপাতালের একটু দূরে একটি বাড়ির শাটারের কাছে চুপ করে বসে যায়। পুলিস সূত্রের বক্তব্য, পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। যেখানে দেহ উদ্ধার হল তার কিছুটা দূরে এদিন রক্তমাখা জিনিস উদ্ধার হওয়ায় রহস্য বেড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কেউ কী তদন্ত ভুলপথে চালিত করার চেষ্টা করছে? আবার যদি উদ্ধার হওয়া জিনিস ওই খুনের ঘটনারই অংশ হয়, তাহলে তা ঘটনাস্থলের কাছেই পরে ফেলে দিয়ে যাওয়ায় ভাবাচ্ছে গভীর আক্রোশ থেকে সেটা করা হয়েছে কি না। যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে অবশ্য এদিনও পুলিস পোস্টিং ছিল না। এ বিষয়ে বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের এক আধিকারিকের বলেন, যেখানে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে খুন হয়নি মনে হওয়াতেই সেখানে পুলিস পোস্টিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি। তাছাড়া আড়ালে থেকে ওই এলাকায় কারা ঘোরাঘুরি করছে সেটা নজরদারি করাও এর কারণ হতে পারে।