ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এই আয়কর কর্তার অভিযোগ, আগস্ট মাসের গোড়ার দিকে এই জালিয়াতির বিষয়টি তাঁর নজরে আসে। তাঁর নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রথমে অজ্ঞাতপরিচয় একদল দুষ্কৃতী ফেসবুকে একটি ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে। এরপর সেই ভুয়ো প্রোফাইল থেকে একে একে ফেসবুকে থাকা তাঁর বন্ধুদের কাছে ‘বন্ধুত্ব চেয়ে বার্তা’ পাঠানো শুরু হয় বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি, সাইবার দুষ্কৃতীদের ওই দলটি শহরের এক নামী বেসরকারি ব্যাঙ্কে এই আইআরএস অফিসারের নাম ভাঁড়িয়ে একটি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলে বলে অভিযোগ। এরপর দুষ্কৃতী দলটি এই আয়কর কর্তার বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা চেয়ে বার্তা পাঠাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, এই আয়কর কর্তার নামে একাধিক ভুয়ো নথি পেশ করে তাঁর নামে একটি মোবাইল ফোনের সিম কার্ড তোলা হয়।
বিষয়টি গুরুতর হওয়ায়, ওই আয়কর কর্তা তড়িঘড়ি ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুলিসের সাইবার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে সাইবার থানার গোয়েন্দারা অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের পাশাপাশি ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৪১৯ (ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারণার চেষ্টা), ৪২০/৫১১ (প্রতারণার চেষ্টা), ৪৬৫ (জালিয়াতি), ৪৭১ (জাল নথিকে আসল বলে চালানো) মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছেন।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আয়কর কর্তা তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও বড়সড় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। কেননা, যেভাবে তাঁর নাম ভাড়িয়ে টাকা তোলার চেষ্টা হয়েছে, তা থেকে এটা পরিষ্কার, আয়করদাতাদের কার্যত বিভ্রান্ত করে টাকা হাতানোর পাশাপাশি তাঁর সুনাম নষ্ট করাই ছিল দুষ্কৃতীদের আসল উদ্দেশ্য। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মাকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলে কোনও উত্তর আসেনি।