ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
গত বছর কামারহাটি পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৫৫ জন। এবছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ জন। তবে কারও মৃত্যু হয়নি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে ডেঙ্গু রোধে সচেতনতামূলক প্রচার চলেছিল। পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গল, মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। জঙ্গল এলাকা পরিষ্কার করতে বলা হয়েছিল জমি মালিকদের। পুরসভার নির্দেশিকার পর সেই সব এলাকা অবশ্য পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। একটি পাতকুয়া পরিষ্কারের নির্দেশিকা ছিল, তাও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, সোমবার ড্রোন উড়ানো হবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। বিটি রোডের দুই ধারে ড্রোন উড়বে। ড্রোন ক্যামেরায় ওঠা ছবি দেখে, ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। কোথায় কোথায় জল জমে রয়েছে, কোথায় মশার লার্ভা রয়েছে, সবই ক্যামেরায় উঠবে। ডেঙ্গু রোধে পুরসভার বিভিন্ন নর্দমায় গত সপ্তাহে এক লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। আরও এক লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে। ওই আধিকারিক বলেন, এই গাপ্পি মাছ মশার লার্ভা খেয়ে নেয়। ফলে নতুন মশা জন্মাবে না।
কামারহাটি পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের পুর পারিষদ বিমল সাহা বলেন, ডেঙ্গু রোধে সোমবার ড্রোন ক্যামেরা উড়ানো হবে। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা ভালো কাজ করছেন। একটি হোয়াটসআপ গ্রুপ খোলা হয়েছে। ওই গ্রুপে কোথাও জমা জল, মশার লার্ভা দেখলে ছবি তুলে পোস্ট করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু সাধারণ মানুষের ওই গ্রুপে ছবি পোস্ট করার কোনও সুযোগ নেই। তাই এই গ্রুপ প্রকৃতই কার্যকরী কি না, তা নিয়েই সংশয় থেকে যাচ্ছে।