ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
যদিও হাওড়া পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন, শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে একটি নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ওই পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই পুরদপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক হয়েছে। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শহরের নিকাশি সমস্যা আর থাকবে না। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এই ব্যাপারে উদ্যোগী হতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সেইমতো পুরদপ্তর একটি পরিকল্পনা তৈরি করছে। কিন্তু, ওই পরিকল্পনা কবে বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে পুরসভার কাছে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই।
দক্ষিণ হাওড়ার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড শুধু নয়, এই এলাকার বেশিরভাগ এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তা নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ আছে। এখানে যে কাঁচা নর্দমাগুলি রয়েছে, সেগুলি অধিকাংশ সময় পরিষ্কার করা হয় না। আর তার ফলে সেখান দিয়ে জল যেতে পারে না। তার উপর প্লাস্টিক থেকে শুরু করে অন্যান্য আবর্জনাও ওই নর্দমায় ফেলা হয়। তাতে নর্দমা আরও বুজে যাচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই জল নর্দমা ছাড়িয়ে রাস্তার উপর দিয়ে বইতে শুরু করে। স্থানীয় লোকজন বলেছেন, সবচেয়ে সমস্যা হয় রাতের দিকে। বর্ষার সময় অধিকাংশ সময় রাস্তার উপর জল দাঁড়িয়ে থাকায় রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তার উপর স্ট্রিট লাইটগুলিও অনেকগুলি খারাপ। অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। রাস্তার আলোগুলি সারিয়ে দেওয়ার জন্য পুরসভার কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। আর তার ফলে এই এলাকার লোকজন চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। স্থানীয় লোকজনের প্রশ্ন, গত পাঁচবছর পুরসভায় তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল। শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডেই তৃণমূলের কাউন্সিলার ছিলেন। তাহলে পাঁচ বছরেও শহরের নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরানো গেল না কেন? যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতি (সদর) অরূপ রায় বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় আসার আগে হাওড়া শহরের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। পাঁচ বছরে রাস্তা, আলো, পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা করার জন্য একটি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শহরের নিকাশি নিয়ে সমস্যা থাকবে না।