ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
হুগলি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কারিগরী স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বলেন, সামাজিক প্রতিরোধই ডেঙ্গুর মতো রোগ রুখে দেওয়ার সেরা উপায়। আর সেজন্য জনসচেতনতা প্রয়োজন। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে আমাদের আশাকর্মী সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই বৈঠক করবেন।
ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে হুগলি জেলা পরিষদ। জেলাজুড়ে একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সাফাই কাজের নজরদারি করা হচ্ছে। গত জুলাই মাসে জেলা জুড়ে একটি পাক্ষিক সচেতনতা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সেই পরিকল্পনার আওতাতেই একদিন পাড়া বৈঠক করে গ্রামের মানুষকে ডেঙ্গু প্রতিরোধ নিয়ে সচেতন করা হয়। সেখানেই পাড়া বৈঠককে ঘিরে মানুষের আগ্রহ দেখে ওই বৈঠক আরও ছোট ছোট স্তরে গোটা জেলাজুড়ে লাগাতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনাই এবার কার্যকর করতে চাইছেন পরিষদ কর্তারা।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাড়ার কোনও জনবহুল স্থান বা যেখানে পাড়ার মানুষ দিনের কোনও সময়ে জমায়েত হয় সেখানে ৮-১০টি পরিবারকে নিয়ে ওই বৈঠক করা হবে। মজলিশি কায়দায় স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখাবেন কিভাবে ঘরোয়া অভ্যেস যেমন, ফুলদানির জল, পরিত্যক্ত ভাঁড়, জলের ট্যাঙ্ক বা এসির জমা জলে ডেঙ্গু মশা জন্মায়। সেই সঙ্গেই জ্বর হলেই রক্তপরীক্ষা বা স্থানীয় হাসপাতালে যোগাযোগের মতো বিষয়গুলিও আমজনতাকে ফের মনে করিয়ে দেবেন বৈঠককারীরা।