উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের খাঞ্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মৌপালক লক্ষ্মীনারায়ণ সামন্ত বলেন, তিনি মোট ২০০টি মৌমাছির বাক্সে মৌ পালন করে থাকেন। তাঁর এপিস মেলিফেরা প্রজাতির মৌমাছি পেয়ারায় ২৩ শতাংশ, লিচুতে ২৮ শতাংশ, আমে ৩৪ শতাংশ এবং ফুলে ২৪ শতাংশ ফলন বাড়াতে সক্ষম। এ ব্যাপারে তিনি হ্যান্ডবিল করে বিলি করেছেন। তাতে কিছুটা কাজ হয়েছে। কিন্তু মৌমাছির বাক্স বসানোর সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ৩ ব্লকের চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মৌপালক তুষারকান্তি পাল জানিয়েছেন, মৌমাছি ফুল থেকে মকরন্দ ও পরাগ সংগ্রহ করে। এই মকরন্দ থেকে তারা মধু তৈরি করে মৌচাকে জমিয়ে রাখে। এই মকরন্দের সঙ্গে ফুল বা ফলের মিষ্টতার কোনও সম্পর্ক নেই। সুগন্ধ ও মিষ্টতা বৃদ্ধিতে দরকার দূষণমুক্ত পরিবেশ, আবহাওয়া, সঠিক পরিচর্যা এবং প্রয়োজনমতো পাতায় হরমোন স্প্রে করা। তিনি এপিস সেরানা ইন্ডিকা প্রজাতির মৌমাছির পালক। এই মৌমাছির দল পুরুষ ফুলের পরাগ নিয়ে স্ত্রী ফুলে সংযোগ ঘটাতে দক্ষ। ফলে ও ফলের উৎপাদন বাড়াতে ওই প্রজাতির মৌমাছির নাম ছড়িয়ে পড়েছে। এতকিছু বুঝিয়েও মৌমাছির বাক্সের সমস্যা ছিলই। এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের রমাপদ মিস্ত্রি জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ১০০টি মৌমাছির বাক্স নিয়ে বারুইপুর ব্লকে বসাতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন। লিচুচাষিরা তাড়া করেছেন। তাই তিনি তাঁর ব্লকেই সুন্দরবনের কাছাকাছি গ্রাম পঞ্চায়েতে বসিয়েছেন। রামকৃষ্ণ আশ্রম কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের নিমপিঠের শস্য সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ প্রবীরকুমার গরাই জানিয়েছেন, মৌমাছিরা ফসল উৎপাদক। খেতে তাই তাঁদের নির্দ্বিতায় ঘোরাফেরা বা উড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা চাষিদেরই করতে হবে। বন্ধ করতে হবে রাসায়নিক কীটনাশক স্প্রে। বন্ধ করতে হবে চাপান সার হিসেবে নাইট্রোজেনের ব্যবহার। প্রয়োগ করতে হবে তরল জৈবসার। রাসায়নিক সারের ব্যবহার বন্ধ করে জৈবচাষ চালু করতে হবে। পরিবেশ বাঁচলে মৌমাছি বাঁচবে।