দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে স্থানে এদিন দুর্ঘটনা ঘটেছে, বিগত কয়েক বছরে সেখানে ১৫টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। অনেকের মৃত্যু হয়েছে। মাফিয়ারা ট্রাক্টরে এমনভাবে বালি নিয়ে যাতায়াত করে, যাতে জাতীয় সড়কে চোখে বালি ঢুকে সাধারণ পথচারীদের পথ চলা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যের জেরেই এদিনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত জাতীয় সড়কে বালি মাফিয়াদের দাপাদাপি বন্ধের দাবি উঠেছে।
ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পুলিস দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইক ও ট্রাক্টরটি উদ্ধার করেছে। জাতীয় সড়কে যাতে ট্রাক্টরের দাপাদাপি বন্ধ করা যায়, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, মাহিনগরের মিশনপাড়ার বাসিন্দা গোপাল পাহান পেশায় শ্রমিক। এদিন তাঁর বন্ধু তন্ময় সরকারের বাইক নিয়ে পতিরামে যাবেন বলে ঠিক করেন। গোপালের সঙ্গে তাঁর ভাইপো শিবা ও বন্ধু বিপুল ছিলেন। গোপাল বারবার চাইতে থাকায় বাইকের চাবি দিয়েও দেন তন্ময়। তাঁরা বাইক নিয়ে পতিরামে নিজেদের কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বালুরঘাট থেকে পতিরামগামী একটি ট্রাক্টর নদী থেকে বালি নিতে ঢুকছিল। ট্রাক্টরটি দ্রুত গতিতে এসে নদীতে যাওয়ার রাস্তায় ঢুকতে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ট্রাক্টরের চালক কোনও সিগনাল দেখায়নি। তাই সেই গাড়িটে যে ওই পথে ঢুকবে তা বাইকের চালক গোপাল কোনওভাবেই বুঝতে পারেননি। তাই তিনি বাইক নিয়ন্ত্রণও করতে পারেননি। সোজা গিয়ে ট্রাক্টরে ধাক্কা মারে বাইকটি। ঘটনাস্থলেই ওই তিন যুবকের মৃত্যু হয়। ধাক্কা মারার জেরে মোটর বাইকটি দুমড়ে মুচরে যায়।
খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে আসে দমকল বাহিনীও। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় পড়ে ছিল ওই তিন যুবকের দেহের বিভিন্ন অংশ। দমকল কর্মীরা এসে রাস্তা থেকে মৃত যুবকদের শরীরের নানা অংশ পরিস্কার করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যেই স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেই একই স্থানে বিগত কয়েক বছরে ১৫টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনেরও বেশি মানুষের। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্ঘটনাস্থলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নেই। বালি মাফিয়ারা রাস্তার ধারে নদী থেকে বালি তুলে স্তূপ করে রেখেছে। রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এলাকায় ট্রাক্টরের দাপাদাপিতে পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বালি মাফিয়ারা পুরো কাজ বেআইনি ভাবে করলেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে। অবাধে তারা নদী থেকে বালি তুলে ট্রাক্টরে ও ট্রলিতে করে নিয়ে যাচ্ছে। ট্রলির পিছনের ডালা খুলে বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই বালি জাতীয় সড়কের পথচারীদের চোখে পড়ছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে।