দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তরে এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই কারবারিদের রুখতে যথাসম্ভব প্রচেষ্টা চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে আফিম চাষের ফলে চাষিরা কী ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে পারে সেবিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আগামীতে লিফলেট বা অন্যান্য মাধ্যমে চাষিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালানো হবে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা আবগারি দপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট তাপস কুমার মাইতি বলেন, আমাদের জেলায় এই মুহূর্তে আফিম চাষের কোনও রেকর্ড নেই। শুধু এখন না গত ১০ বছরে এধরনের চাষের কোনও খবরই জেলা প্রশাসনের কাছে নেই। তবে আমরা সতর্ক কারণ যারা আফিম কারবারি তারা বিভিন্ন সময়ে এলাকা পরিবর্তন করে থাকে। মালদহে আফিম চাষের বিরুদ্ধে যেভাবে লাগাতার অভিযান চালানো হয়েছে তাতে অনেকটাই সমস্যায় পড়েছে আফিম কারবারিরা। তাই তারা অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারে। যেহেতু মালদহ জেলা আমাদের জেলার অত্যন্ত কাছে অবস্থিত তাই যাতে কোনওভাবেই জেলায় চাষিরা শুধুমাত্র টাকার প্রলোভনে পড়ে এই ধরনের চাষের সঙ্গে যুক্ত না হয় সেদিকে নজর রাখতে আমরা বিভিন্ন কাজ করছি। ইতিমধ্যেই ব্লক স্তরে কথাবার্তা হয়েছে। আগামীতে লিফলেট সহ একাধিক উপায়ে চাষিদের মধ্যে এবিষয়ে প্রচার চালানো হবে।
মালদহ জেলার বিভিন্ন অংশে মূলত কালিয়াচক থেকে শুরু করে মালদহ শহর সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে আফিমের চাষাবাদ। বিভিন্ন সময়ে এই আফিম চাষের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিস ও আবগারি দপ্তর। একটা সময়ে আফিম চাষ মাত্রাতিরিক্ত অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ার ফলে জেলা প্রশাসন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। তারা এই চাষের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালানোয় কারবারিরা সরে পড়েছে। যদিও কালিয়াচক থেকে শুরু করে বেশকিছু জায়গায় এখনও লুকিয়ে-চুরিয়ে এই চাষ হচ্ছে।
আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষিদের মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে এই চাষের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়। এক বিঘা জমিতে আফিম চাষ করা হলে চাষিদের ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। মূলত কারবারিরা বাইরে থেকে এসে চাষিদের লোভ দেখিয়ে একাজ করিয়ে থাকে। ফলে চাষিরা অধিক মুনাফার লোভে কারবারিদের ফাঁদে পা দেয়।