সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
পুরসভার মেয়র সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, শহরের উন্নয়ন ও নাগরিক পরিষেবা নিয়ে মানুষের মতামত জানতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর পেছনে অন্য কোনও কারণ নেই।
শহরের উন্নয়ন সহ নানা বিষয়ে নাগরিকদের মতামত গ্রহণ করতে একদা শিলিগুড়ি পুরসভায় বসানো হয়েছিল কিয়স্ক মেশিন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য সেই কিয়স্ক মেশিন থেকে সহজেই জানা যেত। পাশাপাশি সেই মেশিনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শ দিতে পারতেন নাগরিকরা। দীর্ঘদিন ধরে সেই মেশিন বিকল হয়ে আছে। এই অস্থায় নাগরিকদের মতামত গ্রহণ করতে নয়া কৌশল নিয়েছে বামফ্রন্ট শাসিত শিলিগুড়ি পুরসভা। সোমবার দীনবন্ধু মঞ্চে পুরসভার নাগরিক কনভেনশনে শহরবাসীর কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করার জন্য একটি বক্স বসানো হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার জন্য বসানো সেই বক্সে ১৫০ জন মতামত জানিয়েছেন। পুরকর্তৃপক্ষ এনিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। তারা এবার স্থায়ীভাবে পুরভবনে এবং পাঁচটি বরো অফিসে এমন বক্স বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিন মেয়র সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের বেহাল অবস্থা, ইন্ডোর স্টেডিয়াম, শক্তিগড়ের রবীন্দ্র ভবন মঞ্চ, পানীয় জলের সমস্যা, মহানন্দা নদী সংস্কার সহ বিভিন্ন বিষয়ে কনভেনশনের দিন বক্সে মতামত দাখিল করেন নাগরিকরা। তাঁদের বক্তব্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীদের জানাব। পাশাপাশি এই ধরনের বক্স পুরভবন, বরো অফিসে স্থায়ীভাবে বসানো হবে। কাউন্সিলাররা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডেও এমন বক্স বসাতে পারেন। এছাড়া, কিয়স্ক মেশিন ফের মেরামত করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও নাগরিকদের কাছ থেকে অভিমত গ্রহণ করা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবেশ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য মুকুল সেনগুপ্ত, শিক্ষা বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য শঙ্কর ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে বাসিন্দাদের অভিমত জানতে এবং দলীয় নেতাদের জনসংযোগ বাড়াতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের এই কর্মসূচি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতো শিলিগুড়িতেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই অবস্থায় বামফ্রন্ট পরিচালিত পুরসভার মতামত গ্রহণ বক্স চালুর সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, বিভিন্ন কারণে নাগরিকদের সঙ্গে বামপন্থীদের দূরত্ব অনেকটাই বেড়েছে। তাই নিরুপায় হয়ে বামফ্রন্ট নিয়ন্ত্রিত পুরসভা ওই কর্মসূচি নিয়েছে। এককথায় তাদের এই পদক্ষেপকে ‘মেয়রকে বলো’ কর্মসূচি বলা যেতে পারে।
মেয়র অশোকবাবু অবশ্য বলেন, রাজ্যে এই ধরনের কর্মসূচি আগে কোনও পুরসভা নিয়েছে বলে জানা নেই। এই প্রথম আমরাই এমন কর্মসূচি চালু করলাম। তাছাড়া কোনও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে নয়, আমরা নিজেরাই নানাভাবে জনসংযোগ রক্ষা করি।