সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
তপন ব্লকের বিডিও সুশান্ত মাইতি বলেন, জেলাশাসক আমাদের ব্লকে ২৮ আগস্ট জনতার দরবার করবেন। সেই দিন এখানে পুরো জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। তবে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকবেন না। বাসিন্দাদের কারও কোনও সমস্যা থাকলে সেই দিন জানাতে পারবেন। অভিযোগ থাকলেও তা সরাসরি জানাতে পারবেন।
সাধারণত জেলার প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা নানা সমস্যার মধ্যে দিন কাটান। অনেকে জেলাশাসকের কাছে লিখিত আকারে সেই সমস্যার কথা জানিয়ে অভিযোগ জমা করেন। যদিও অভিযোগকারীদের অনেকের দাবি, সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হয় না। সেগুলি দিনের পর দিন জেলাশাসকের অফিসে পড়ে থাকে। এনিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেক জেলাশাসককে নির্দেশ দেন যাতে জেলাবাসীর সমস্যা তাঁরা নিজে মুখে শুনে সেগুলি সমাধান করেন। এজন্য জনতার দরবার আয়োজন করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে একাধিক জেলায় জেলাশাসকরা জনতার দরবারে বসে সাধারণ জেলাবাসীর সমস্যার কথা শুনে সেগুলি সমাধান করতে উদ্যোগী হয়েছেন। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ পালন করছেন না। তিনি জনতার দরবার কর্মসূচি আয়োজন করছেন না। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনতে জনতার দরবার বসানোর, কিন্তু কেন জেলাশাসক সেবিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছেন না তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তরফে তপন ব্লকে জনতার দরবার করবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ আগস্ট তপন ব্লকে এই জনতার দরবার করা হবে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ২৪টি দপ্তর সেদিন উপস্থিত থেকে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা প্রদান করবে। জেলাশাসক নিখিল নির্মল নিজে মুখে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনে সেগুলি সমাধানে উদ্যোগী হবেন। জনতার দরবার পুরো মেলার আকারে করা হবে। সেখানে বালুরঘাটের জেলার প্রশাসনিক ভবন থেকে দপ্তরগুলিকে পুরো তুলে নিয়ে আসা হবে। সেখানে মানুষে সমস্যার শোনার পাশাপাশি সমাধান করা হবে। সেইসঙ্গে নাগরিক পরিষেবাও দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে গিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, ছাত্র, শিক্ষক সহ বিভিন্ন মহলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকে। এরকম সভা করতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর নজরে অনেক সমস্যা পড়ে যেগুলির প্রশাসনিক স্তরে সমাধান সম্ভব। কিন্তু মানুষ সমস্যাগুলি নিয়ে প্রশাসনের কাছে পৌঁছতে পারছেন না। তখনই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসককে জনতার দরবার বসানোর নির্দেশ দেন। তাঁর কথা মতো মানুষ প্রশাসনের কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলবে না, প্রশাসনই মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে অভাব অভিযোগ শুনবে ও সেইমতো পদক্ষেপ পড়বে। পাশাপাশি সরকারি পরিষেবারও ব্যবস্থা করবে।