সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালন করতে এদিন সকালে উত্তর একটিয়াশালের বটতলা এলাকায় দলীয় পতাকা উত্তোলন করতে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতমবাবু। তাঁর আসার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে জমায়েত হন। উপস্থিত বাসিন্দাদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই ছিল বেশি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে মন্ত্রী দ্বিতীয় পর্যায়ের ’দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শেষ করেন। সেই মুহূর্তে জমির পাট্টার দাবিতে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে জমির পাট্টা দেওয়ার দাবি তোলেন। এনিয়েই তাঁদের সঙ্গে মন্ত্রীর কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এতেই মন্ত্রী কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করার চেষ্টা করেন এক যুবক। এনিয়েও কিছুটা উত্তেজনা হয়। মন্ত্রীর নির্দেশে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা সেখান থেকে ওই যুবককে সরিয়ে দেন।
মন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের বলেন, পাট্টা আমি করেই দেব তা বলতে পারব না। কারণ জমি আমার নয়। বর্তমানে পুরসভা সিপিএম পরিচালনা করে। রাজ্য সরকার আমাদের হলেও পুরসভা সিপিএমের। তাছাড়া এটা আমার দপ্তরের বিষয় নয়। আমি পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী। আপনাদের দাবি নথিভুক্ত করেছি। এই ব্যাপারে চেষ্টা করব বলতে পারি। এখনই জমির পাট্টা করে দেব তা বলতে পারি না।
এসব কথা বলে মন্ত্রী সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ আরও উগরে দেন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করলেও জমির পাট্টা মেলেনি। প্রতিটি নির্বাচনের আগেই নেতারা জমির পাট্টা দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে ভোট নেন। ভোট মিটে যাওয়ার পরই নেতারা বেপাত্তা হয়ে যান। তাই জমির পাট্টা কবে মিলবে তা জানার জন্য বটতলায় এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের কথা সেভাবে না শুনে মন্ত্রী মাথা গরম করে চলে গেলেন। আদৌ জমির পাট্টা পাব কিনা তা বুঝতে পারলাম না।
সংশ্লিষ্ট এলাকাটি শহরের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে। বর্তমানে সেই ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা দিনমজুর। মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ওই বাসিন্দাদের সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলার তৃণমূলের সত্যজিৎ অধিকারী বৈঠক করেন। তিনি বলেন, উত্তর একটিয়াশালে খাস জমির উপর ৫০টি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বাস করছে। বিগত বামফ্রন্ট জমানায় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে তাঁরা দাবি জানিয়েও জমির পাট্টা পাননি। ইতিমধ্যে তাঁদেরকে জমির পাট্টার জন্য ফর্ম পূরণ করানো হয়েছে। তার পরেও কিছু মানুষ মন্ত্রীকে পাট্টার দাবি জানান। এনিয়ে হইহট্টোগোল হলেও তেমন মারাত্মক কিছু ঘটেনি। বাসিন্দাদের পাশে আছি, থাকব। তাঁরাও আমাদের সঙ্গে আছেন।
প্রসঙ্গত, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি সোমবার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে সূচনা করেন মন্ত্রী। পদযাত্রা, সভা করার পর রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে ছিলেন। এদিন সকাল শরৎপল্লির মাঠে মন্ত্রী মর্নিংওয়াক করেন। তারপর স্থানীয় আশ্রমে গিয়ে শরীর চর্চা করেন, ইসকন মন্দিরে পুজো দেন, বৃক্ষরোপণ করেন।