পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের জেরে ফের উত্তর-পূর্ব ভারত যেভাবে অশান্ত হয়েছে, তা কাশ্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাস প্রত্যাহার পর্বের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল বলেই তোপ দাগলেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি এই মন্তব্য করতেই পাল্টা সরব হলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। কংগ্রেসই এই অশান্তিতে প্রশয় দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করলেন যোশি। বিরোধী বেঞ্চে হাজির ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তারই মধ্যে বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবে মন্তব্য করলেন, সোনিয়া গান্ধী-রাজীব গান্ধীর কারণে উত্তর-পূর্ব ভারতের চেহারাটাই অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের একজন এমপি এম কে সুব্বা ওখানে খ্রিস্ট্রানদের জায়গা করে দিয়েছেন। সোনিয়া গান্ধীর নাম নেওয়াতেই রেগে যান কংগ্রেস এমপিরা। অধীরবাবুও বললেন, মোদি সরকার সংসদে এমনই বিল পাশ করলেন যার জন্য বিজেপির অসমের এমপিদেরই অনুপ্রবেশকারীদের মতো লুকিয়ে বাড়িতে ঢুকতে হচ্ছে।
অধীরবাবু আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। ওখানে ২০ হাজার দুর্গাপুজো হয়। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুজো প্যান্ডেলে যান। অথচ সেই বাংলাদেশে হিন্দুরা অত্যাচারিত বলে যে বিল আনা হল, তাতে দু’দেশের সম্পর্কই নষ্ট হবে। এবং পাকিস্তান ও চীন সুযোগের অপব্যবহার করবে বলেও মন্তব্য করেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। যদিও তা মানতে নারাজ সরকার। প্রহ্লাদ যোশি বলেন, কংগ্রেস মিথ্যে প্রচার করছে। ওরাই অশান্তি উসকাচ্ছে। আক্রমণ, প্রতি আক্রমণে সভা উত্তাল হল।
কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াল এনসিপি, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি, সিপিএম, আইইউএমএলের মতো দলগুলি। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ওয়াক আউট করল তারা। প্রত্যক্ষভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে না গেলেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর-পূর্ব ইস্যুতে পৃথকভাবে নিজেদের বক্তব্য রেখে ‘ওয়াক আউট’ করল তৃণমূল কংগ্রেসও। এই অশান্ত পরিস্থিতিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী কী করে গুয়াহাটি যাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সভায় এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জবাব দিন বলে দাবি করলেন সৌগত রায়।
একইভাবে সরকারের প্রতি বিরোধিতা বজায় রাখতে এদিন এক বিল প্রসঙ্গেও বিরোধী জোটের প্রতিবাদ দেখা গেল। কেন লোকসভার নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরকার ইচ্ছামতো বিল আনছে আর পাশ করাতে চাইছে, তা নিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ল বিরোধীরা। এমপিদের আগে থেকে কেন বিল পড়তে দেওয়া হয়নি, প্রশ্ন তুলে সরব হল তাঁরা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ‘দ্য ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপসি কোড (সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০১৯’ পেশ করার উদ্দত হতেই বিরোধিতা করেন কংগ্রেসের অধীররজ্ঞন চৌধুরী, তৃণমূলের সৌগত রায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে সংসদকে বুলডোজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন অধীরবাবু। তাঁকে সমর্থন করে সৌগতবাবুও প্রতিবাদে সামিল হলেন। বললেন, নিয়ম মোতাবেক দু’দিন আগে বিল পড়তে দিতে হয়। কিন্তু তা হচ্ছে না কেন? সম্মিলিত বিরোধীরা বিলটিকে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানোর দাবি করলেও তা গ্রাহ্য হল না। ধ্বনি ভোটে বিল পেশ করে দিলেন নির্মলা সীতারামন।