বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বুধবার মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে একটি সভা থেকে নাম না নিয়ে রাহুল গান্ধীকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির এই আক্রমণের নেপথ্যে সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট। সেখানে দাবি করা হয়েছে, রাফালের প্রতিযোগী সংস্থা ইউরোফাইটারের হয়ে লবি করেছিল মিচেল। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কমিশনভোগীদের বন্ধুরা চৌকিদারকে ভয় দেখানোর স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু তাদের হতাশ হতে হবে। কারণ এই চৌকিদার ঘুমায় না, ভয়ও পায় না। ওরা যত খুশি হেনস্তা করুক, মিথ্যা বলুক। কিন্তু এই সাফাই অভিযান বন্ধ হবে না। দুর্নীতিকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলার অভিযানে নেমেছে এই চৌকিদার। তাকে কেনা যাবে না। অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাবে। এমনকী অন্ধকারেও খারাপ মতলবে থাকা লোকদের ধরে ফেলে এই চৌকিদার।
সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে গুইদো হাস্কি নামে অগুস্তার আরও এক দালালের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে হাস্কি রাফালের প্রধান প্রতিযোগী ইউরোফাইটারের হয়ে লবি করেছিল। ফ্রান্সের ডাসল্ট সংস্থার সঙ্গে ভারত ৩৬টি রাফাল বিমান কেনার চুক্তি চূড়ান্ত করার আগে ইউরোফাইটারের জন্য লবি করার এই কাজ চলেছিল। বিজেপির অভিযোগ, ক্রিস্টিয়ান মিচেলের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠতা রাফাল চুক্তি নিয়ে রাহুল গান্ধীর দুর্নীতির অভিযোগ তোলার অন্যতম কারণ। কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন ভিভিআইপি চুক্তিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই মিচেলের বিরুদ্ধে। বিজেপির আরও অভিযোগ, ক্রিস্টিয়ান মিচেলের ওই লবির কারণেই ইউপিএ সরকারের সময় ১২৬টি রাফাল বিমান কেনার চুক্তি থমকে গিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই এদিন কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ চালান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, মিচেল মামার ‘সওদাবাজি’র কারণেই কি সেই সময় (ইউপিএ আমলে) রাফাল চুক্তি আটকে গিয়েছিল?