ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
জেএমবি বহু গ্রামে তাদের সংগঠনের জাল বিস্তার করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা গোপন মিটিং করেছে। সেখানে বাংলাদেশ থেকেও শীর্ষ স্তরের জেএমবি নেতারা এসে জেহাদি কার্যকলাপে অনেককেই উদ্বুদ্ধ করেছে। মূলত অভাবী পরিবারের যুবকদের টার্গেট করে তাদের কাজ দেওয়ার নাম করে জেএমবি তাদের কাছে টানত। শুরুতে তাদের দিয়ে কিছু সামাজিক কাজকর্ম করানো হলেও পরে ধাপে ধাপে মগজ ধোলাই করে জঙ্গি মনোভাবাপন্ন করে গড়ে তোলা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, আব্দুল বারির মতো জেলার শীর্ষস্তরের জঙ্গিরা ঠিক করে দিত কোথায় কাকে কী ধরনের প্রশিক্ষণে পাঠানো হবে। জেলার সীমান্তবর্তী ও প্রত্যন্ত গ্রামের বহু যুবক তাদের খপ্পরে পড়েছে। তারা এখন কোথায় রয়েছে, সেবিষয়ে গোয়েন্দারা খোঁজখবর করছে। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক তৈরির প্রাথমিক পাঠ আব্দুল বারি তার প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে দিয়েছে। এরকম বেশকিছু তথ্যপ্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইটাহারের মারনাই, কাপাশিয়া, জয়হাট ছাড়া সংলগ্ন মালদহের বেশকিছু গ্রামে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা দুষ্কৃতীদের কাছে মজুত রয়েছে। ওই সমস্ত দুষ্কৃতীর আড়ালে জঙ্গি যোগ থাকার আশঙ্কাও করছেন বাসিন্দারা।
জেএমবির উত্তর দিনাজপুরের অন্যতম মাথা আব্দুল বারি বছর খানেক ধরে প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের আড়ালে মারনাইয়ের একটি মার্কেট কমপ্লেক্সের ভিতরে জঙ্গি মডিউল চালিয়েছে। প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের কোনও সরকারি অনুমোদন ছিল না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এরকম একটি বেআইনি ল্যাবে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা বিভিন্ন ধরনের রক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য রোগীদের যেতে সুপারিশ করতেন। দিনের বেলা রোগীদের আনাগোনা হলেও গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে অচেনা অজানা বহু মানুষের আনাগোনা দেখা গিয়েছে। ফলে অনেকের সন্দেহ হলেও দিনের বেলা চিকিৎসার প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা হওয়ায় কেউ সরব হতে পারেননি। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, বেআইনি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের বিষয়ে খোঁজখবর চলছে।
ইটাহারের মারনাই গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে কয়েকদিন ধরে এলাকায় রাত পাহারা শুরু করেছেন। শনিবার রাতে ওই গ্রামের সুই নদীর ধারে কয়েকজন দুষ্কৃতী আম বাগানে জড়ো হওয়ায় বাসিন্দাদের আতঙ্ক বেড়ে গিয়েছে। অভিযোগ, সেখানে বসেই দুষ্কৃতীরা বোমা বাঁধার কাজ করছিল। দুষ্কৃতীরা এলাকায় গোলমাল পাকাতে পারে এমন আশঙ্কায় অনেকের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। মারনাইয়ের বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ধৃত জঙ্গিদের শাগরেদরা এলাকায় গোলমাল পাকানোর ছক করছে। তাই এলাকায় পুলিস ক্যাম্পের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। যদিও ইটাহার থানার পুলিস জানিয়েছে, এলাকায় পুলিসের নজরদারি রয়েছে।