ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
মালদহের জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থ সাহা বলেন, আমরা শিবিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফরম পাঠিয়ে দিয়েছি। শিবির থেকে বাসিন্দাদের ফরম পেতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে কেউ কোনও কারণে শিবির থেকে ফরম সংগ্রহ না করতে পারলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে তা পেতে পারেন। www.wbpds.gov.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম ডাউনলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে ওয়েসবসাইটের ‘ফিচারস্’ অপশনে ক্লিক করলেই ১৪ রকমের ফরম পাওয়া যাবে। সেখান থেকে প্রয়োজন মতো ফরম আবেদনকারীরা পাবেন। তবে একই পাতার দুই পিঠে যাতে ফরমের বিষয়বস্তু ছাপা থাকে তা দেখতে হবে। দুটি পৃথক পাতায় ফরমের বিষয় যাতে কেউ ‘প্রিন্ট আউট’ না করেন তারজন্য সকলকে অনুরোধ করেছে দপ্তর। বিষয়টি নিয়ে কারও কোনও সমস্যা হলে খাদ্য দপ্তরের ব্লক থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত যে কোনও অফিসে যোগাযোগও করা যাবে। পঞ্চায়েত, পুরসভা, ব্লক, মহকুমা এবং জেলাশাসকের অফিস থেকেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও তথ্য পাওয়া যাবে। একাজে রবিবার জেলার প্রায় ৩০০ জন কর্মী-আধিকারিকদের নিয়ে একটি শিবির করা হয়। সেখানে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য ছাড়াও জেলার দুই মহকুমা শাসক এবং সমস্ত ব্লকের বিডিওরা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের ১৫টি ব্লকে বিডিও অফিস চত্বরে ও দু’টি পুরসভায় এদিন শিবির চালু হয়। ইংলিশবাজার শহরে রথবাড়ি এলাকায় খাদ্য দপ্তরের মহকুমা অফিসে শিবির খোলা হয়েছে। পুরাতন মালদহ শহরে স্থানীয় খাদ্য পরিদর্শকের অফিসে শিবির খোলা হয়েছে। ওইসব শিবিরে এদিন সকাল থেকে বাসিন্দাদের লম্বা লাইন পড়ে। প্রথম দিনে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়। খাদ্য দপ্তরের জেলা থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত আধিকারিকরা সমস্যা মেটাতে ময়দানে নামেন। বিডিওরাও শিবিরগুলি পরিদর্শন করেন।
এদিকে, খাদ্যসাথী প্রকল্পে নতুন করে নাম অন্তর্ভূক্তির জন্য সরকারের শর্ত নিয়ে এদিন আবেদনকারীদের মধ্যে গুঞ্জন শোনা যায়। তাঁদের বক্তব্য, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী আবেদন করতে হলে খুব কম সংখ্যক লোক প্রকল্পের আওতায় আসবেন। কারণ বর্তমানে শহর এবং মফস্সলে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। ফলে শর্তের মাপকাঠিতে অনেকে বাদ পড়বেন। শর্ত কিছুটা শিথিল করার দাবি উঠেছে।
এব্যাপারে খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, সরকার প্রকৃত গরিব মানুষকে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দিতে চাইছে। দাবি তুললেই হল না, একাধিক কামরা যুক্ত পাকা বাড়ির মালিক কখনও গরিব হতে পারেন না। দু’চাকা গাড়ি কিনে চাপার সামর্থ রয়েছে এমন পরিবারের দু’টাকা কেজি দরে চাল না পেলেও চলবে। সেই খাদ্যশস্য আমরা বেশি করে গরিব মানুষকে দিতে পারব।