ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা পঙ্কজ কুমার দাস বলেন, আমি চেকের জন্য সকালে এসে কৃষিদপ্তরে লাইন দিয়েছিলাম। চেক হাতে পাওয়ার পর দেখতে পাই আমার জমির পরিমাণ অনুযায়ী চেকে অনেক কম টাকা লেখা রয়েছে। আমি ছাড়াও অনেকে এমন চেক পান। কারও চেকে বেশি টাকা লেখা রয়েছে, কারও আবার কম টাকা লেখা রয়েছে। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ দপ্তরে জানালে ব্লক কৃষি আধিকারিক আমাদের তথ্য যাচাই করে চেক ফেরত নেন এবং পরে খোঁজ নিয়ে চেক সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন। ব্যাঙ্কের গাফিলতির জন্য এই সমস্যা হয়েছে বলে জানান।
গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি আধিকারিক সুদীপ্ত সরকার বলেন, আমরা সোমবার গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬০০ চাষিকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের চেক দেওয়ার জন্য ডেকেছিলাম। ছয়টি কাউন্টার থেকে চেক বিলি শুরু হয়। এরই মাঝে চাষিদের কাছ থেকে অভিযোগ আসে জমি হিসাবে চেকে অসঙ্গতি রয়েছে। তারপর আমরা তথ্য যাচাই করে জানতে পারি সত্যি চেকে ভুল রয়েছে। উপভোক্তাদের কাছ থেকে চেক ফেরত নেওয়া হয়। সাময়িকভাবে চেক বিলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত চেক ফিরিয়ে দিচ্ছি। ব্যাঙ্ক নতুন করে চেক দিলে শীঘ্রই উপভোক্তাদের মধ্যে তা বিলি করা হবে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি আধিকারিক জোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তরে চেক বিলি নিয়ে অসঙ্গতির কথা জানতে পেরেছি। আমি জেলাশাসক ও আমাদের রাজ্য কৃষিদপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছি। ব্যাঙ্কের গাফিলতির জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের ও গ্রামের চাষিদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দ্রুত নতুন চেক এলে চাষিদের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চেকে ভুল থাকায় চাষিদের থেকে শুরু করে দপ্তরের কর্মী অধিকারিকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এদিন গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষিদপ্তর থেকে চেক বিলি চলতে থাকলেও বিষয়টি প্রথমে কারও নজরে আসেনি। অনেকে চেক নিয়ে বাড়ি চলে যান। একাংশ চাষি তাঁদের জমির পরিমাণ অনুযায়ী চেকে টাকার পরিমাণ কম থাকায় প্রতিবাদ করলে বিষয়টি দপ্তরের নজরে পড়ে। যাঁদের বেশি জমি তাঁদের চেকে টাকার পরিমাণ কম আবার যাঁদের কম জমি তাঁদের চেকে বেশি টাকা লেখা থাকায় উপভোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এনিয়ে ব্লক কৃষিদপ্তরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলাও দেখা দেয়।