ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সৌরভবাবু বলেন, নাগরাকাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় করমপুজোয় আমন্ত্রণ থাকায় সেখানে চলে যাই আমি। কিষানবাবু বলেন, আমি মানুষের পাশে আছি। আমাকে সভায় ডাকলেই আমি যাই। সৌরভ ব্যস্ত মানুষ। তাঁর হয়তো কোনও কাজ ছিল। তিনি কেন চলে গেলেন সেটা তিনিই বলতে পারবেন।
অন্যদিকে, কৃষক সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি বাড়িতে গিয়ে রাজ্যের উন্নয়নের কথা প্রচারের ডাক দিলেন রাজ্য কিষাণ খেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি বেচারাম মান্না। এদিনের জেলা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়্যারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন সহ শাসক দলের জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্য সহ নেতা-কর্মীরা। ষড়যন্ত্রকারীরা চিহ্নিত হলে তাদের দল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন জেলা সভাপতি কিষান কল্যানী।
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়্যারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস হারেনি। হেরেছে কংগ্রেস ও সিপিএম। তাদের বিশ্বাসঘাকতার জন্য জলপাইগুড়িতে জিতেছে বিজেপি। দলের মধ্যে থেকে কিছু লোক ষড়যন্ত্র করেছে। তাদের সর্ম্পকে সরাসরি দিদিকে অভিযোগ জানান। সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, আমরা উন্নয়নের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আর বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছিল। এনআরসি, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন সহ বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে ভোটে জিতেছে তারা। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বারা বিতরণ করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আমরা ক্ষমতায় এলেও বদলা নিইনি। কিন্তু লোকসভা ভোটে একটু ভালো ফল করতেই যেভাবে, বিজেপি মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আমি জেলার দায়িত্বে না থাকলেও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ রয়েছি।
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কিষান কল্যানী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের এখনও আস্থা রয়েছে। কিছু নেতার ব্যবহারের কারণেই মানুষ আমাদের থেকে সাময়িকভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দলের মধ্যে থেকে পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করছে অনেকেই। তারা চিহ্নিত হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হবে।
বেচারাম মান্না বলেন, বিজেপি মানুষের মধ্যে ধর্মীয় সুড়সুড়ি ছড়িয়েছে। তাদের টাকার কাছে আমরা হেরেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রচার ঘরে ঘরে পৌছে দিলেই বিজেপি কুপোকাত হয়ে যাবে। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ান। চায়ের দোকানে বসে যারা দলের সমালোচনা করছেন, তারাই দলের সবচেয়ে বড় শত্রু। সমালোচনা না করে দলের হয়ে কাজ করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসলে তাঁর জনমুখী প্রকল্পগুলি নিয়ে প্রচার করুন। দেখবেন বিজেপি ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে।
এদিন বারোটায় লাটাগুড়িতে সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির জন্য তা দেরিতে শুরু হয়। তৃণমূল নেতাদের দাবি, কৃষক সংগঠনের জেলা সম্মেলন জনসভায় পরিণত হয়েছিল।