ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এবিষয়ে মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, চাঁচল এলাকায় একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলার জন্য শিল্প উদ্যোগীরাই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব মতো আমরা সরকারি জমি পেয়েছি। সেখানে প্রয় ১৭ একর জমি রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। আমরা এদিন জমিটি পরিদর্শন করেছি। সেখানে কী কী শিল্প গড়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। এরপর আমরা সেখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির প্রপোজাল তৈরি করব। আশা করছি একাজে আমরা সফল হব। এবং চাঁচলে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করতে পারব ।
জেলার ক্ষুদ্র ছোট মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দপ্তরের জেনারেল ম্যানেজার মানবেন্দ্র মণ্ডল বলেন, ওই এলাকায় রাইস, জুট এবং মাখনা প্রসেসিং নিয়ে শিল্পের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন আমরা জমি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ওই সরকারি জমিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে উঠলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। আমরা সেদিকেই এগচ্ছি।
মালদহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক সুভাষ হালদার বলেন, চাঁচলের কাশিমপুর বাবুবাগান এলাকায় শিল্পের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে শিল্পের জমির জন্য বলেছিলাম। প্রশাসন জমি দেখেছে। তাতে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। সেখানে রাস্তা নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে বলে শুনেছি। রাস্তা হয়ে গেলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির কোনও সমস্যা থাকবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল-২ নম্বর ব্লকের খেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিমপুর বাবুবাগান এলাকায় প্রায় ১৭ একর সরকারি জমি রয়েছে। সেই জমিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এদিন জেলাশাসক সহ পদস্থ কর্তারা শিল্পোদ্যোগীদের নিয়ে ওই জমি পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের বক্তব্য, পার্ক তৈরির উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। এলাকায় প্রচুর ধান পাট এবং মাখনা উৎপাদন হয়। কাঁচামাল জোগানের ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে না। তাতে রাইস, জুট এবং মাখনা প্রসেসিং শিল্প তৈরি হতে পারে। এছাড়াও উদ্যোগপতিরা চাইলে ছোট ছোট শিল্প ইউনিটও সেখানে গড়ে তুলতে পারবেন। এদিন জমি পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসন সেখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে চলেছে।