ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
ইসলামপুর পুলিস জেলার পুলিস সুপার সচিন মক্কর বলেন, ধৃত দুই জনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। শিশুটি তা দেখতে পেয়েছিল। এই জন্যই ওই দু’জনে শিশুটিকে খুন করেছে। জোরায় একথা তারা স্বীকার করেছে। আমরা আরও প্রমাণ সংগ্রহ করার জন্য ফরেন্সিক টিম আনছি। বুধবারের মধ্যে তারা চলে আসবে। ইসলামপুর কোর্টের সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল বলেন, বিচারক ধৃত দুই জনকে সাত দিনের পুলিস রিমান্ড দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তা দেখে ফেলেছিল সোনালি। সেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারা শিশুটিকে খুন করে। মৃত ছাত্রীর বাবা গীতানন্দ মণ্ডল বলেন, আমার ফুলের মতো মেয়েকে যারা খুন করেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই।
প্রসঙ্গত, ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হাটবাড়ি এলাকার বাসিন্দা গীতানন্দ মণ্ডলের মেয়ে সোনালি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন বহু খোঁজাখুঁজি করেও তার খোঁজ পায় না। ডালখোলা থানায় এনিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিস প্রশাসনও তার খোঁজ পায়নি। শনিবার সকালে বাড়ির পাশের ঝোপে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিস রায়গঞ্জ থেকে স্নিফার ডগ এনে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। স্নিফার ডগ গন্ধ শুঁকে মৃতার কাকিমার ঘরের একটি আলমারি পর্যন্ত যায়। এরপর পুলিস তার কাকিমাকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিশুটির গৃহশিক্ষকের সঙ্গে মহিলার অবৈধ সম্পর্ক ও তার জেরে সোনালিকে খুনের কথা পুলিস জানতে পারে।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গীতানন্দ মণ্ডলরা চার ভাই। ছোট ভাই অবিবাহিত। তিনি বাড়িতেই থাকেন। তিন ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে। একই উঠনে সকলে আলাদা আলাদা থাকে। গীতানন্দ মেঘালয়ে লেদের কাজ করেন। বাকি দুই ভাইও ভিনরাজ্যে কাজ করেন। তাঁদের বউরা বাড়িতেই থাকে। সোনালি ও তার ছোট ভাইকে গৃহশিক্ষক প্রদীপ সপ্তাহে পাঁচদিন করে পড়াত। সোনালির কাকাতো ভাইকে অর্থাৎ ধৃত মহিলার ছেলেকেও ওই শিক্ষক অন্য সময় পড়াত। এই সুবাদে গৃহশিক্ষকের সঙ্গে ওই মহিলার অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়। তাদের আপত্তিকর অবস্থায় সোনালি দেখেছিল। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন সকালে গৃহশিক্ষক ওই বাড়িতে আসে। সেসময় সোনালি শিক্ষককে দেবে বলে তার মাকে একটি উপহার এনে দিতে বলে। তার মা বাড়ির পাশের দোকানেই উপহার কিনতে গিয়েছিলেন। সেসময় সোনালি তার কাকিমার ঘরে ঢোকে। সেখানেই তাকে খুন করা হয়। এরপরে মৃতদেহটি আলমারিতে রাখা হয়। সোনালির আর খোঁজ পাওয়া যায় না। শনিবার ভোর রাতে মৃতদেহ বের করে বাড়ির পেছনে ফেলে দেওয়া হয়।