ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য মলয় সরকার বলেন, মহিলারা যে হিসেব দিচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে বহু টাকা তাঁদের কাছ থেকে কাটমানি হিসাবে নেওয়া হয়েছে। গরিব স্বনির্ভর দলের মহিলাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। তাঁদের প্রাপ্য টাকা থেকে যদিও কেউ কাটমানি নিয়ে থাকে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। আমারা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের তদন্ত চেয়েছি। সব মিলে ২৯২টি স্বনির্ভর দল পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে। স্বনির্ভর দলগুলির সদস্যরা জানিয়েছেন এলাকায় ১০০ দিনের প্রকল্পে নারকেল গাছ দেখভালের জন্য তাঁদের হাজিরা দেওয়া হয়। স্বনির্ভর দলের মহিলারা আমাকে অভিযোগ করেন সেই হাজিরার টাকায় উপ সংঘের এক নেত্রী অনেকের কাছে টাকা হাতিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে লহন্ডা নিবেদিতা স্বনির্ভর মহিলা দলের সভানেত্রী মুনমুন দাস বলেন, আমার কাছে ঋণ দেওয়ার জন্য সংঘের নেত্রী ২০০০ টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না দেওয়ায় ঋণ পাব না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। রামপুর ভারতমাতা স্বনির্ভর দলের দলনেত্রী গীতা বর্মন বলেন, ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ঋণ পেতে আমাকে ২০০০ টাকা কাটমানি দিতে হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ঋণ পেতে ৭০০ টাকা কাটমানি দিতে হয়েছে। যদিও উপ সংঘের ওই নেত্রী জানিয়েছেন, তিনি কারো কাছে কোনও কাটমানি নেননি। কেউ ষড়যন্ত্র করে এধরনের অপপ্রচার করছেন। প্রশাসন তদন্ত করলেই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাবে। আন্দোলনকারীরা এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তারা পথ অবরোধ সহ বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলবেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্বনির্ভর দলের মহিলারা এনিয়ে থানায় বিক্ষোভ দেখিয়ে অভিযোগও জানিয়েছেন।