খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
গত ১২ ফেব্রুয়ারি করোনা নিয়ে মোদি সরকারকে ট্যুইট করে সতর্ক করেছিলেন রাহুল গান্ধী। বলেছিলেন, করোনা আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এবং অর্থনীতিতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তবুও সরকার তা মোকাবিলায় ঠিক মতো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সময় মতো পদক্ষেপ না নিলে অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হবে বলেই মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। আজ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দলের প্রাক্তন সভাপতির আশঙ্কা সত্যি হওয়ায় সরকারকে এক হাত নিয়েছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় সরকার দিশাহীন। আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী কবেই সরকারকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু মোদি সরকার কানে নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস বিজেপির মতো ঢাকঢোল পিটিয়ে কোনও কিছুকে ইভেন্টে পরিণত করতে পারে না। কিন্তু দেশের জন্য ভাবে। কেবল তালি আর থালি বাজিয়ে কি পেট ভরবে, নাকি করোনা পালাবে? কটাক্ষ করেছেন অধীরবাবু। কংগ্রেসের রাজ্যসভার এমপি পি চিদম্বরমের মন্তব্য, সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করেছে। অনেক আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, মোদি সরকার আজ যেভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আগেই নেওয়া উচিত ছিল। সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অনেক আগেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার ছিল।
এদিকে সাধারণের মধ্যে যেমন করোনা নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে, একইভাবে করোনার চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও তা ছড়াচ্ছে। বিশেষত, মাস্ক এবং পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট ঠিক মতো সরবরাহ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাই পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে দেখে আজ রাহুল গান্ধী ফের ট্যুইট করে বলেছেন, খুব খারাপ লাগছে। করোনা নিয়ে আজ দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা এড়ানো যেত। অনেক সময় পেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার ঠিক মতো পদক্ষেপ নেয়নি। রাহুল আরও বলেছেন, করোনার এই বিপদকে আরও গুরুত্ব দিয়ে সরকারের ভাবা উচিত ছিল।
ওদিকে, সরকার আজ তড়িঘড়ি ভেন্টিলেটর এবং স্যানিটাইজার রপ্তানি বন্ধ করলেও তা আগেই কেন করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। বলেছেন, গত ১৯ মার্চেও ভেন্টিলেটর রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এর চেয়ে বড় ক্রিমিনাল অফেন্স আর কী আছে? প্রশ্ন তুলে সুরজেওয়ালার দাবি, ভারতে এই মুহূর্তে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ৭ লক্ষ ২৫ হাজার বিশেষ পোশাক প্রয়োজন। এন-৯৫ মাস্ক দরকার ৬০ লক্ষ। এছাড়া এক কোটি ট্রিপল প্লাই মাস্ক। নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে সুরজেওয়ালা বলেন, ডাক্তার, নার্সদের জন্য তালি আর থালি বাজানো বন্ধ করুন। তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দিকে জোর দিন।