সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এই বৈঠকের প্রধান আলোচ্য কী সেটা সরকারিভাবে জানানো হয়নি। তবে জানা যাচ্ছে উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠকে কাশ্মীরকে ঘিরে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত নিয়েই আলোচনা হয়েছে। এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করবেন। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এরপর আগামী কিছুদিনের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যুতে আবার কোনও বড়সড় সিদ্ধান্ত বা চমক দেবে সরকার? বিশেষ করে আজ থেকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক করার চেষ্টায় প্রয়াসী হয়েছে কেন্দ্র। স্কুল কলেজ অফিস খুলেছে। সরকারি সমস্ত অফিস খোলা হয়েছে। যদিও মোট ৯০০ স্কুলের মধ্যে মাত্র ১৫০টি খোলা হয়েছে আজ। আর সেখানেও পড়ুয়ার উপস্থিতি ছিল নামমাত্র। একদিকে যেখানে আজ থেকেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক হয়েছে বলে সরকার দাবি করেছে সেখানে গতকাল থেকে নতুন একটি অ্যাজেণ্ডা নিয়ে সরকারের মধ্যে থেকে জোরদার প্রচার শুরুর আভাস পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং যেমন উত্থাপন করেছেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তেমনই জম্মুকাশ্মীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জম্মুতে বিজেপি পার্টি অফিসে কর্মীসভায় বলেছেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের জীবদ্দশায় আমরা দেখতে পারলাম ৩৭০ নং ধারা অবলুপ্ত হল। এবার পরবর্তী পদক্ষেপ হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া। গোটা ভারতবর্ষ এখন এই স্বপ্নই দেখছে। আর সেই স্বপ্ন পূরণেই আমাদের অগ্রসর হতে হবে। আমাদের জীবদ্দশাতেই আবার সেই একইভাবে যেন দেখে যেতে পারি যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরও ভারত ফিরে পেয়েছে।
রাজনাথ সিং গতকাল এর থেকেও চড়া সুরে বলেছিলেন, এবার পাকিস্তানের সঙ্গে যদি কথা বলতেই হয় তাহলে একটা বিষয়েই বলা হবে। সেটি হল পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে। কয়েকদিন আগেই রাজনাথ সিং ভারতের পরমাণু নীতি বদলের ইঙ্গিতও দিয়েছেন। অর্থাৎ প্রয়োজনে ভারত আগেই ব্যবহার করতে পারে পরমাণু বোমা এরকম একটি নীতি আগামীদিনে পরিস্থিতি অনুযায়ী নেওয়া হতেই পারে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে এই চর্চাটি আবহকে যখন উত্তপ্ত করেছে, তখনই আজ যেভাবে নর্থ ব্লকে কাশ্মীর নিয়ে দেশের দুই গোয়েন্দা ও গুপ্তচর প্রধান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে দীর্ঘক্ষণের বৈঠক হল সেখানে কাশ্মীর নিয়ে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।