সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
হিমাচল প্রদেশে সোমবারও ভারী বৃষ্টির জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মঙ্গলবারও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি জারি থাকবে বলে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৫০০ মানুষ আটকে পড়েছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। মৃতের সংখ্যা অন্তত ২৫। এখনও পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। ধস ও হড়পা বানের জেরে বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। দুর্যোগের মধ্যেই সেই সব রাস্তা পরিষ্কারের চেষ্টা চলছে। যাতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। বৃষ্টির মধ্যেই আবার লাহুল স্পিতি ও চাম্বা জেলায় তুষারপাত হয়েছে। উত্তরাখণ্ডে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তর কাশী জেলার। সোমবার এখানে বৃষ্টি কিছুটা কমায় উদ্ধারের কাজে গতি আসে। বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তত ১০ জনের দেহ উদ্ধার হয় বলে সরকারি সূত্রে খবর। তার মধ্যে মাকুদি ও আরাকোট থেকে চারটি করে দেহ উদ্ধার হয়েছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া অন্য গ্রামগুলির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা জারি রয়েছে। উদ্ধারের কাজে নামানো হয়েছে মোট তিনটি হেলিকপ্টার। তার মধ্যে একটি বায়ুসেনার কপ্টার রয়েছে। ধস, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও পাহাড়ি নদীগুলি খরস্রোতা হয়ে পড়ায় উদ্ধারের কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। হরিদ্বারে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গার জল।
উত্তর ভারতের অন্য রাজ্যগুলির মতোই বিপর্যস্ত রাজধানী দিল্লিও। রবিবার হরিয়ানা থেকে রেকর্ড ৮.২৮ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল যমুনা নদীতে। যমুনার জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিচু এলাকার মানুষকে অস্থায়ী শিবিরগুলিতে সরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সম্ভাব্য সব পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন তৈরি রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে মোট ২ হাজার ১২০টি অস্থায়ী শিবির খোলা হয়েছে। নিচু এলাকাগুলি থেকে প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে ওইসব শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এজন্য শিবিরগুলিতে প্রয়োজনীয় খাবার, পানীয় জল, ওষুধ ও অন্যান্য জিনিসপত্র মজুত করা হয়েছে। দিল্লির পাশাপাশি পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। কারনাল জেলা থেকে বেশ কিছু মানুষকে উদ্ধার করেছে বায়ুসেনা। গত তিন দিন ধরে অতি ভারী বৃষ্টি হয় এই দুই রাজ্যে। তবে সোমবার বৃষ্টি অনেকটাই কমে। কিন্তু গত তিন দিনের ব্যাপক বৃষ্টিতে যমুনার জলস্তর বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।