সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
গতকালই সংরক্ষণ নিয়ে কংগ্রেস আক্রমণ করে বলে বিজেপি এবং সঙ্ঘের প্রকৃত মনোভাব এবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সঙ্ঘ এবং বিজেপি যে আদতে দলিত, তফসিলি ও অনগ্রসর জাতিদের সংরক্ষণের প্রক্রিয়ার বিরোধী, এটাই প্রমাণিত হল। বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবার আরও অস্বস্তিতে পড়ে যখন মোদি সরকারের এনডিএ জোটের শরিকরাও এই মনোভাবের বিরুদ্ধাচারণ করে। মহারাষ্ট্রের দলিত পার্টি রিপাবলিকান পার্টি অফ ইণ্ডিয়া সোমবার জানিয়ে দেয় সংরক্ষণ বন্ধ করে দেওয়ার কোনওরকম প্রয়াস মেনে নেওয়া হবে না। সংরক্ষণ প্রয়োজন। এবং সংরক্ষণ কেউ প্রত্যাহার করে নিতে পারবে না। সংযুক্ত জনতা দলও পরোক্ষে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আরপিআই এবং নীতীশ কুমারের দলের সমস্যা হল মহারাষ্ট্রে এবং বিহারে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। সুতরাং সংরক্ষণ বিরোধী তকমা পেলে এনডিএ জোটের পক্ষে ভোটে সমস্যা হবে। আর এই অস্বস্তি ঠেকাতে আজ তড়িঘড়ি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের পক্ষ থেকে মোহন ভাগবতের বক্তব্যের সুর নরম করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। আজ সঙ্ঘের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের একটি বক্তব্য নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করা হচ্ছে। কারণ সঙ্ঘ কোনওভাবেই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে নয়। এর আগেও বারংবার বলা হয়েছে যে সঙ্ঘ পরিবার তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অনগ্রসরদের সংরক্ষণ দেওয়ার পূর্ণ সমর্থক। এই ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার কোনও দাবি কিংবা মনোভাবই নেই সঙ্ঘের। তাই মোহন ভাগবতের বক্তব্য ঘিরে একটি বিভ্রান্তির সূচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত আজ সঙ্ঘ পরিবারে পক্ষ থেকে এভাবে বিবৃতি দেওয়ার কারণ বিজেপির শীর্ষ স্তরকে বিব্রত হওয়া থেকে রক্ষা করা। আর মাত্র কয়েকমাসের মধ্যে একের পর এক রাজ্যে নির্বাচন হবে। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে বিধানসভার ভোট এই বছরেই। আর এই তিন রাজ্যেই সংরক্ষণের আওতায় থাকা ভোটারের সংখ্যা বিপুল। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ডে তো সিংহভাগই সংরক্ষণের আওতায় থাকা বাসিন্দা।
এরপরই আগামী বছর বিহারে ভোটে। ফলে সামগ্রিকভাবে এখন সংরক্ষণ নিয়ে কোনওরকম সংশয় তৈরি করা হোক এটা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব চাইবে না। মোহন ভাগবত সরসঙ্ঘচালক হওয়ার পর থেকে বিজেপির জয়যাত্রা অনেক বেড়েছে। তিনি হঠাৎ মুখ ফসকে কোনও মন্তব্য করবেন এটা অনেকেই বিশ্বাস করেন না। তাই তিন তালাক, ৩৭০ নং ধারার পর আগামীদিনে সংরক্ষণ নিয়েও সঙ্ঘ পরিবারের কোনও বিশেষ প্ল্যান রয়েছে কি না সেই প্রশ্নও উঠছে।