পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
প্রথম দিকে শুধুমাত্র ফেসবুক বন্ধু হিসেবে ছিল সৌরভ। কিন্তু স্বামীর মৃত্যু ডিম্পলের জীবনে একটা শূণ্যতা তৈরি করে। এক সময়ে নিজের অজান্তেই তাঁর থেকে ১৬ বছরের ছোট বেকার সৌরভের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে ডিম্পলের। যা নজর এড়ায়নি শাশুড়ি ঊর্মিলার। এই অবৈধ সম্পর্কে তিনি বাধা হয়ে দাঁড়ান। তাই নৃশংসভাবে খুনের পরও ঊর্মিলাদেবীর ধড় ও মাথা আলাদা করেছে সৌরভ।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, আদতে পাঞ্জাবের বাসিন্দা হলেও ডিম্পলের সঙ্গে দেখা করতে সৌরভ তিনবার কলকাতায় এসেছে। এমনকী ডিম্পল পাঞ্জাবে নিজের বাপের বাড়িতে গেলে, সেখানে সৌরভ পৌঁছে গিয়েছিল দেখা করতে।
সৌরভ একইসঙ্গে ডিম্পল এবং তাঁর অষ্টাদশী কন্যা গুড়িয়ার সঙ্গে প্রেমে মেতেছিল। একসঙ্গে একই বাড়িতে দুটি অবৈধ সম্পর্কের ঘোরে কার্যত বাহ্যজ্ঞান লোপ পেয়েছিল সৌরভের। আর তাই প্রেমিকা ডিম্পলের কথায়, ঊর্মিলাদেবীকে খুনের দায়িত্ব সে নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্মিলাদেবীর এক প্রতিবেশীর কথায়, ঊর্মিলাদেবী তাঁর বড় ছেলের মৃত্যুর পর পুত্রবধূর ফের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গুড়িয়া ও গুঞ্জার ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাতে তখন সায় দেননি এই ডিম্পল! স্বাভাবিকভাবেই ডিম্পলের এই দ্বিচারিতা মানতে পারছেন না গড়চা ফার্স্ট লেনের প্রতিবেশীরা কেউই।