পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের মতো বারাসতেও শাসক দলের ভরাডুবি হয়েছিল। বারাসত বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ২৯২টি বুথের মধ্যে বারাসত শহরে ২৫৫টি বুথ রয়েছে। মোট ৩৫টি ওয়ার্ডে এই বুথগুলি রয়েছে। এরমধ্যে ২৫টি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়েছিল। বারাসত শহর এলাকা থেকে বিজেপি প্রায় ১০ হাজার ভোটে এগিয়েছিল। খোদ পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় সহ বহু কাউন্সিলারের ওয়ার্ডে শাসক দলের ভরাডুবি হয়েছিল। জেলা নেতারা এই বিপর্যয়ের ময়নাতদন্তে নামার পর সাংগঠনিক দুর্বলতার পাশাপাশি নানান সমস্যার কথা জানতে পারেন। তারমধ্যে শহরের নেতাদের জনবিচ্ছিন্নতা, পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ, প্রোমোটার রাজ, জলাজমি ভরাট, কাউন্সিলারদের উদ্ধত আচরণ, কাটমানি সহ নানা বিষয় প্রকাশ্যে আসে। এই পরিস্থিতিতে বারাসত শহর তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়কে শহর সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। পুরভোট সামনে আসায় বুথস্তর থেকেই সংগঠন সাজানোর উদ্যোগ নিচ্ছে শাসক দল। সিংহভাগ ওয়ার্ডের কোনও বুথ সভাপতি না থাকায় ওই পদে নতুন করে নির্বাচনের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রত্যেক বুথের সক্রিয় কর্মীদের নিয়ে সর্বসম্মতভাবে বুথ সভাপতি ও কনভেনার নির্বাচিত করা হচ্ছে। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের শর্ত হিসেবে বলা হচ্ছে, প্রত্যেক দিন সকালে নিজের বুথে অন্তত দু’ঘণ্টা করে ঘুরতে হবে। চায়ের দোকানে বসে মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি বুথের প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে ঢুঁ মারতে হবে। বাড়ির প্রত্যেকে কেমন আছে, ছেলেমেয়েরা কী করছে, কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, সেসব খোঁজ নিতে হবে। এলাকায় কোনও সমস্যা থাকলে ওয়ার্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলে কাউন্সিলার, চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে।
অশনিবাবু বলেন, পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে দলের কর্মীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতেন। কিন্তু দল ক্ষমতায় আসার পর সকলের মধ্যে জনবিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে। সেই কারণে বারাসত পুরসভায় এলাকায় লোকসভা ভোটে আমাদের প্রায় ১০ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে। আমরা বুথস্তরে নতুন সভাপতি ও কনভেনার নির্বাচনের কাজ শুরু করেছি। নির্বাচিত সভাপতিদের প্রতিদিন সকালে এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলা ও মানুষের সমস্যা জেনে তা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চাইছি।
যদিও বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, বারাসত শহরের মানুষ বিজেপিকে মনপ্রাণ দিয়ে সমর্থন করেছেন। আমরা মানুষের পাশে রয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকার সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাশ করেছে। আমরা নিশ্চিত, লোকসভা ভোটের থেকেও পুরসভায় ভালো ফলাফল করব। সাংগঠনিক রদবদল হওয়ার কারণে কিছুটা সময় লাগছে। দ্রুত কর্মীরা বুথে বুথে কাজ শুরু করবেন।