সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পরেও এই লোকসভা কেন্দ্রের নেতাদের শিক্ষা হয়নি। এখনও তাঁরা নিজেদের মধ্যেই লড়তে ব্যস্ত। একে-অপরকে টাইট দেওয়ার জন্য ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। রাজ্য নেতৃত্বর নির্দেশে চাপে পড়ে নেতারা ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি করতে বাধ্য হলেও তাতে তেমন সাড়া মিলছে না। ওই দুই শহরে এই কর্মসূচি কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। কিছু কিছু গ্রামীণ এলাকায় এই কর্মসূচি চলছে। তা নিয়েও আবার বিস্তর প্রশ্ন উঠছে। কোন গোষ্ঠীর নেতারা এই কর্মসূচি করবেন তা নিয়েই দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। দলের এক নেতা বলেন, দিদিকে বলো কর্মসূচিতে গিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। নেতাদের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ শুনতে হচ্ছে। স্কুলের পোশাক তৈরির বরাত পাওয়া সংস্থা থেকেও নেতারা কাটমানি খেতে চাইছেন। কয়েকদিন আগে দৌলতাবাদে প্রচারে গিয়ে নানা অপ্রিয় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর শহর থেকে তৃণমূল প্রায় ৬০ হাজার ভোটে পিছিয়ে যায়। এই শহরই কংগ্রেসের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। নেতারা আন্তরিকভাবে ময়দানে না নামার জন্যই তৃণমূল পিছিয়ে পড়ে বলে অনেকে মনে করছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের পর এই শহরে সংগঠনের ভিত আরও নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। দিদিকে বলো কর্মসূচিকে সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দল ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও এখানে উল্টো ছবি। শুধুমাত্র কয়েকটি গেট এবং হোর্ডিং লাগিয়েই নেতারা দায় সেরেছেন বলে অভিযোগ। নেতাদের এখনও সেভাবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরতে দেখা যায়নি।
বহরমপুর শহরের তৃণমূলের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, বিধায়ক না থাকায় শহরে দিদিকে বলো কর্মসূচি কিছুটা ধীর গতিতে চলছে। তবে বহরমপুরের বাসিন্দারা ফোন নম্বর পেয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ জানাচ্ছেন।
অন্যদিকে, কান্দির তৃণমূল নেতাদের দাবি, উপর থেকে নির্দেশ না আসায় তাঁরা এখনও শহরে ওই কর্মসূচি না করে গ্রামে গিয়ে গিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। গোকর্ণ হিজলের মতো এলাকায় কর্মসূচি চলছে। দলের কর্মীরা বলেন, গ্রামীণ এলাকার ভোটাররা দলের সঙ্গেই রয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে শহর মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। এই শহর থেকে দল প্রায় ১৪ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়েছিল। তাই উপরতলার নির্দেশ আসুক বা না আসুক এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে কান্দি শহরেই নেতাদের ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল বলে তাঁদের মত। এই শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন কারণে ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনা দরকার। তা হচ্ছে না। তাছাড়া কান্দিতেও শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর টানাপোড়েন আগের মতোই রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। সংগঠনকে মজবুত করার জন্য সব গোষ্ঠীর নেতাদের এক হয়ে চলা উচিত বলে কর্মীদের মত।
কান্দির তৃণমূল নেতা গৌতম রায় বলেন, উপর থেকে না বললে দিদিকে বলো কর্মসূচি আমরা নিজেদের ইচ্ছেমতো করতে পারব না। এখন গ্রামে যাচ্ছি। সেখানকার লোকজনদের সঙ্গে কথা বলছি। গ্রামে রাত কাটানোর পর পতাকা তুলে ফিরছি। রাজনৈতিক মহলের মতে, গ্রামের থেকেও কান্দি এবং বহরমপুরে এই কর্মসূচিতে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া উচিত।