সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
কৃষ্ণনগরের পুলিস সুপার জাফর আজমল কিদওয়াই বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে জেরা করে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটির দুই বাসিন্দা রাজু ঘোষ এবং সুজয় দে সোনার কারবারি। তাঁরা চাপড়া, তেহট্ট, করিমপুর এলাকার বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে অর্ডার অনুযায়ী সোনার গয়না দিয়ে তাদের থেকে ভাঙাচোরা বা পুরনো সোনা সংগ্রহ করেন। অনেক সময় টাকাও নেন। বহু বছর ধরেই তাঁরা এই কারবার করছেন। এদিন রাতে কাজ সেরে তাঁরা ফিরছিলেন। নয় মাইলে কিছুটা ফাঁকা জায়গায় বিএসএফের অফিসের আগে তাঁদের গাড়ি আটকানো হয়। গাড়ি থেকে নেমে আসতে বলা হয়। সেই সময় গাড়ির সামনেই বসেছিলেন সুজয়বাবু। তাঁর বন্ধু রাজুবাবু ছিলেন পিছনের সিটে। একটি ব্যাগে সোনা ছিল। সেই ব্যাগ নিয়ে নেমে আসতে বলা হয়। তাঁরা নামতে না চাইলে গাড়ির সামনের কাচে গুলি চালানো হয়। ভয়ে নেমে আসেন তিনজনেই। সোনার গয়নার ব্যাগ এরপর হাতিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সময় চালকও গায়েব হয়ে যান। তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কাছে প্রায় ১ কেজি ২০০ গ্রামের বেশি সোনা ছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর। যার আর্থিক মূল্য ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। রাজুবাবু বলেন, ওরা সাতজনের বেশি ছিল। আমাদের কাছে একটি ব্যাগে সোনা ছিল। গাড়ির চালককে ওরা নিয়ে যায়। আগে অন্য একজন চালক আসত। ইদানীং নতুন চালক আসছে। ও আমাদের খুবই বিশ্বস্ত। ও কোনওভাবেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। সুজয় দে বলেন, চালককে ওরা বাইকে তুলে নেয়। পরে ছেড়ে দেয়। ও কোনওভাবে রাস্তা চিনে কৃষ্ণনগর স্টেশনে পৌঁছয়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরে। পুলিস ঘটনার যথাযথ তদন্ত করুক এটাই চাইব।
জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার ওদের উপর দীর্ঘদিন ধরে নজর রাখা হচ্ছিল। কী কাজ করেন, কোন সময় লুটপাট চালালে বেশি লাভ হবে, সবটাই ওদের জানা ছিল। সেভাবেই পরিকল্পনা করে দুষ্কৃতীরা এগিয়ে গিয়েছে। তবে স্থানীয়দের কারও সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব নয়। সেটা গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তই, না আরও কেউ আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে একটি গাড়ি পরিষ্কার করার দোকান রয়েছে। দোকানের কর্মচারী মিরকাশেম মণ্ডল বলেন, একটা গুলির আওয়াজ পেলাম। তারপর হঠাৎ দেখলাম একজন ডাকাত ডাকাত বলে ছুটে এসে একটি বাইকের পিছনে উঠে পড়ল। আর কিছু দেখিনি। পরে পুলিস আসে। স্থানীয় চা বিক্রেতা নাজির শেখ, চাষি শাহবাজ শেখ বলেন, এরকম ঘটনা আমাদের এলাকায় বহু বছর পর ঘটল।