নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: কোভিড টেস্টের জন্য আর শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপর উপর নির্ভর করতে হবে না।  এবার জলপাইগুড়িতেই তৈরি হচ্ছে ভেনিরিয়াল ডিজিস রিসার্চ ল্যাব (ভিডিআরএল)। আগামী এক মাসের মধ্যেই ভিডিআরএল তৈরি হয়ে যাবে বলে  মঙ্গলবার জানান জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন। রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক শেষে বিজয়বাবু বলেন, কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ তথা জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল কতটা প্রস্তুত তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জেলা তথা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নয় তলায় কোভিড টেস্টের অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি তৈরি হবে। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এসজেডিএ) টাকায় আগামী এক মাসের মধ্যে ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপর থেকে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পেতে দীর্ঘ সময় লাগবে না। এখন কোভিড টেস্ট করালে শিলিগুড়ি থেকে রিপোর্ট আসতে সময় লাগছে কমপক্ষে তিন দিন। ল্যাব তৈরি হয়ে গেলে সেই রিপোর্ট একদিনেই পাওয়া যাবে। যার ফলে সংক্রমিতদের চিকিৎসা আরও দ্রুত শুরু করা সম্ভব হবে। 
এদিন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির মাসিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন, সমিতির সদস্য সন্দীপ মাহাত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশান্ত রায়, সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশান্ত রায় বলেন, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলায় ১০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন ঢুকে যাবে। তারপরই জেলার পরিবহণে নিযুক্ত শ্রমিক ও হকারদের অগ্রাধিকারের সঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ভ্যাকসিন পাবেন, ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিরাও। সেইসঙ্গে জেলায় রক্তের সংকট কাটাতে সকলকে রক্তদান করার পরামর্শ দেন সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর। এতে যেমন সাধারণ রোগীরা উপকৃত হবেন তেমনি সমস্যা মুক্ত হবেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীরাও।