আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
বনগাঁ ও বাগদার বহু বাসিন্দা কাজের খোঁজে ভিন রাজ্য বা ভিন রাষ্ট্রে পাড়ি দেন। গতবছর করোনার প্রথম ঢেউতে লকডাউন থাকায় কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাঁদের। সমস্ত পরিবহণ বন্ধ থাকায় সরকারের উদ্যোগে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আবারও ভিন রাজ্যে চলে যান কাজের খোঁজে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করায় আবারও লকডাউনের সিঁদুরে মেঘের আশঙ্কা করছেন ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকরা ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা। দেশজুড়ে লকডাউন হলে কাজ হারাতে হবে শ্রমিকদের। কী করে সংসার চলবে সেটাই একমাত্ৰ চিন্তার তাঁদের। বাগদার আইসমালির বাসিন্দা মিন্টু মণ্ডল দুবাইতে কাজে গিয়েছেন। এরাজ্যে আংশিক লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় উদ্বিগ্ন তাঁর আত্মীয়রা। তাঁর আত্মীয় কবীর মণ্ডল বলেন, এরাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কারণে শ্যালকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করি। তবে, ওখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানায় সে। বাগদার সাগরপুর, বৈকলা, মালিপোতা প্রভৃতি এলাকার বহু মানুষ কাজের কারণে ভিন রাজ্যে রয়েছেন। বনগাঁর এরোপোতা গ্রামের আলপিন মণ্ডল, আলাউদ্দিন মণ্ডল, বাপি মণ্ডলরা কাজের জন্য পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে। গতবারের লোকডাউনে ঘরের ছেলেদের বাড়ি ফেরার লড়াইয়ের কথা ভেবেই আতঙ্কিত পরিবারের লোকেরা। বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় বলেন, গতবার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সকলেই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। অনেকেই নিজ নিজ এলাকায় ব্যবসাপত্তর শুরু করেছেন। তাঁর আশ্বাস, আবারও তেমন পরিস্থিতি হলে সরকার শ্রমিকদের পাশে অবশ্যই থাকবে।