আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
এবার বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়িতে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত বামফ্রন্ট প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যের হয়ে ময়দানে নেমেছিলেন রামভজনবাবু ও কমলবাবু। ওই ভোটে ধরাশায়ী হয়েছেন অশোকবাবু। জানা গিয়েছে, ২মে ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে এই দু’জন অনেকটাই নিস্ক্রিয় হয়ে যান। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁরা একসঙ্গে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কার্যালয়ে (সমতল) হাজির হন। দলের ঝান্ডা হাতে তুলে দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গৌতমবাবু। হাজির ছিলেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) রঞ্জন সরকার।
উল্লেখ্য, রামভজনবাবু আরএসপির দার্জিলিং জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি এদিন বলেন, বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়াই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর লড়াই এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে আকৃষ্ট হয়েই দল পরিবর্তন করলাম। শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পর পর তিনবার পুরভোটে জয়ী কমলবাবু সিপিএমের শিলিগুড়ি জোনাল কমিটির সদস্য ছিলেন। এদিন তৃণমূলের ঝান্ডা ধরার পর বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যেই রয়েছে। এবার ভোটে তা প্রমাণিত হয়েছে।
শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতমবাবু বলেন, রামভজন ও কমল দু’জনেই শহরে সুপরিচিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে শরিক হওয়ার জন্য তাঁরা আবেদন করেছিলেন। দু’জনকেই দলে স্বাগত জানাচ্ছি।
শিলিগুড়িতে বামফ্রন্টে ভাঙন শুরু বছর খানেক আগে থেকেই। এর আগে পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য পরিমল মিত্র সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেন। বিধানসভা ভোটের আগে শঙ্কর ঘোষ সিপিএম ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। এবার রামভজনবাবু ও কমলবাবু বামফ্রন্ট ত্যাগ করায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার অবশ্য বলেন, ক্ষমতার বৃত্তে থাকার জন্যই ওই দু’জন আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। নিজস্ব চিত্র