আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ২৪ জন কাউন্সেলর হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে সুস্থ করার কাজ করছেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে এই কাউন্সেলরদের নেওয়া হয়েছে। এই দলে ডাক্তারও আছেন। তুলসীবাবু বলেন, প্রতিনিয়ত কাউন্সেলররা রোগীদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ রাখছেন। মানসিক শক্তি জোগানোর পাশাপাশি সুস্থ থাকার জন্য নিয়মমতো ওষুধ খাওয়া, হাল্কা ব্যায়াম করা, গান শোনা, বাড়িতে কীভাবে সময় কাটানো উচিত তার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারও প্রয়োজন বা কোনও সমস্যা হলে সংক্রামিতরা সঙ্গে সঙ্গে কাউন্সেলরদের জানাচ্ছেন। প্রয়োজন হলে কাউন্সেলর, ডাক্তারের সঙ্গে সেই ব্যক্তিদের কথা বলিয়ে দিচ্ছেন। পরিস্থিতি জটিল হলে অ্যাম্বুলেন্স টিমের কাছে খবর চলে যাচ্ছে। সেই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। একজন রোগীকে টানা ১৭ দিন এভাবে সুস্থ করে তোলার পর তাঁদেরকে স্বাস্থ্যদপ্তরের থেকে নেগেটিভ সার্টিফিকেটও দেওয়া হচ্ছে। সংক্রামিতদের বাড়িতে লোক না থাকলে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা তাঁদের বাড়িতে বিনামূল্যে ওষুধও পৌঁছে দিচ্ছেন। কাউন্সেলররা যে কাজ করছেন তাঁদেরকে উৎসাহিত করার জন্য এবং তাঁদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য প্রতি ১০ দিন অন্তত তাঁদের নিয়ে আলাদা করে প্রশিক্ষণ শিবির করা হচ্ছে।
গতবছরও করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে এভাবে হোম আইসোলেশন চালু করেছিলেন ডাঃ তুলসী প্রামাণিক। তিনি জানান, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডাঃ রবার্ট এক্কাকে দিয়েই শুরু করেছিলাম। তিনি সুস্থ হয়ে ওঠার পর বিষয়টি আমাকে উৎসাহিত করে। সেই পদ্ধতিতেই আমি সর্বত্র হোম আইসোলেশন শুরু করি। তবে গতবার সংক্রামিতের সংখ্যা কম থাকায় হোম আইসোলেশনে সংক্রামিতের সংখ্যা কম ছিল। এবার সংখ্যাটা অনেক বেড়েছে।