আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
বিজেপি নেতাদের ঘিরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি যে সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয় না, ভোটে তার প্রমাণ মিলেছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পাওয়া বিজেপির তিন ‘দামি’ প্রার্থীই ভোটে হেরেছেন।
২০০৬ সাল থেকে টানা তিনবার শাসক দলের বিধায়ক ছিলেন কুলটির উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। সিকিউরিটি তো দূরের কথা, দলীয় কর্মীর বাইকের পিছনে চেপেই এলাকায় চষে বেড়াতেন তিনি। এবার তাঁকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপির অজয় পোদ্দার। কুলটিতে গণনা পরবর্তী কোনও হিংসার ঘটনাও ঘটেনি। তবুও বৃহস্পতিবার থেকে নতুন বিধায়ককে ঘিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন চারজন কেন্দ্রীয় জওয়ান। একইভাবে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইকেও ঘিরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শিল্পাঞ্চলের বিশিষ্টজনদের দাবি, এই রাজনীতি গোবলয়ে পরিচিত। সেই এলাকায় বহু জনপ্রতিনিধির গায়েই মাফিয়া, ডন তকমা রয়েছে। তাই অনেক সময় তাঁদের ঘিরে থাকে প্রাইভেট সিকিউরিটি। কাউকে কাউকে সরকারি নিরাপত্তাও দেওয়া হয়। তাঁদের ঘোরাফেরা, আদপ কায়দা সবই আলাদা। এতদিন বাংলার মানুষ এসব দেখতে অভ্যস্ত ছিল না। কিন্তু এবার ভোটেই নেতাদের ঘিরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছড়াছড়ি। জেলার দলবদলু এক কাউন্সিলারকেও ঘিরে থাকে চারজন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, যা অনেকের ‘নজরে’ পড়ছে। তাই অসন্তোষও দানা বাঁধছে। আসানসোল বিবি কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ বসু বলেন, এখানে আমরা বিধায়কদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিতে, পাড়ার মোড়ে সবার সঙ্গে চা খেতে দেখেছি। এই নয়া সংস্কৃতি বাংলায় মানায় না। বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, আমি এতদিন জেলা সভাপতি ছিলাম। নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন হয়নি। তবে দল ও কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসু বলেন, মানুষের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেই নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন হয়। বিজেপি নেতারা সেই জনবিচ্ছিন্ন। তাই তাঁদের বিশেষ নিরাপত্তারক্ষী দিতে হচ্ছে।