আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পোলট্রি ফেডারেশনের জেলা সম্পাদক তাইতান রায় বলেন, উৎপাদন কম থাকায় মাংসের দাম কিছুটা বেড়েছে। তাছাড়া করোনার জন্য চিকিৎসকরা প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। ফলে অনেকে মুরগির মাংস খাওয়া বাড়িয়েছেন। তাই দাম বেড়েছে।
জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বাজারে ভিটামিন জাতীয় ওষুধের অমিল দেখা দিয়েছে। তাই অনেকেই প্রোটিনের জন্য মুরগির মাংস খাচ্ছেন। কাটোয়া, গুসকরা, আউশগ্রাম, পূর্বস্থলী সহ জেলার প্রায় সর্বত্রই ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে। অনেকে বলছেন, করোনা সংক্রমণের জেরে বাজার হাট সবকিছু দিনের অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকছে। তার উপর সমস্ত জিনিসের দামও আকাশছোঁয়া। ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। কেতুগ্রামের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ, অনুপ হালদার বলেন, চিকিৎসক বলছেন শরীরে প্রোটিন বাড়াতে হবে। তাহলে করোনা থেকে রেহাই মিলবে। তাই প্রতিদিনই মুরগির মাংস খাচ্ছি।
মুরগির মাংস ও ডিম দুটোই প্রোটিন যুক্ত খাবার। যা শরীরে ইমিউনিটি শক্তি জোগাতে সাহায্যে করে। ফলে অনেকেই প্রতিদিন মাছের বদলে মুরগির মাংস নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। কাটোয়া শহরে বেশ কিছু দোকানে ১৮০ টাকা দরে মাংস বিক্রি হচ্ছে। আবার কাটোয়া-২ ব্লকের বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকায় ২০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাটোয়া শহরের সুবোধ স্মৃতি রোডের ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, এখন মুরগির মাংসের চাহিদা বেড়েছে। তাই দামও বেড়েছে।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ টন পোলট্রির মুরগির মাংসের চাহিদা আছে। সেই তুলনায় উৎপাদন কমছে। তাছাড়া স্থানীয় বেশ কিছু ফার্মে মুরগি মারা যাওয়ায় বাজারে জোগান কমেছে। কিছু সংস্থা আবার করোনার জন্য মাংসের চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়িয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই মাংসের দাম আবার কমবে বলে আশা পোলট্রি ফেডারেশনের।