আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভোটে জয়ের আনন্দে রাতে গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। গ্রামের তৃণমূল নেতা তথা ব্লক কমিটির সদস্য মেঘনাদ দাস বলেন, পূর্বপাড়ার আমাদের কয়েকজন সমর্থক খেতে আসছিলেন। এসময় পথে তাঁদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে আচমকা হামলা চালায় বিজেপির লোকজন। সেই সময় ডিউটি জয়েন করতে যাচ্ছিল আমার ভাই পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার রঞ্জিত দাস। মারধরে বাধা দিতে গেলে তাকেও আঘাত করা হয়। তার পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। এছাড়া, আমাদের চার সমর্থকের কারও মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারও কোমরে চোট লেগেছে। তিনি বলেন, গ্রামের দু’টি বুথ থেকেই বিজেপি বিধানসভা ভোটে লিড পেয়েছে। তাতেই ওরা গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে এলাকার বিজেপি নেতা তথা জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওরা খাওয়াদাওয়া সেরে ফেরার পথে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে কটুক্তি করে। প্রতিবাদ করলে ওরা আমাদের এক মহিলা সমর্থক সহ পাঁচজনকে মারধর করে।
বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরও চালায়। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এসময় দু’পক্ষের হাতাহাতি হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিস এসে জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু আমাদের দলের কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। ওরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। আর পুলিস উল্টে আমাদেরই সমর্থক তুষার দাসকে তুলে নিয়ে গিয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, ঘটনায় কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। তাই কাউকে গ্রেপ্তার বা আটকও করা হয়নি। তবে গ্রামে উত্তেজনা থাকায় পুলিসি টহল চলছে।