আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
এদিকে, করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে ৪ হাজার ২০৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে বুধবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এখনও পর্যন্ত দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যায় এটি সর্বাধিক। সেই অর্থে রেকর্ড। গত এক বছরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গোটা দেশে ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ১৯৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোয় কেন্দ্রের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের উপর গেলেই চিন্তাজনক বলে ব্যাখা করেছে, সেখানে ভারতে ৫৩৩ টি জেলায় তা ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে পশ্চিমবঙ্গের ২২টি জেলাতেও এই প্রভাব পড়েছে বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত মধ্যপ্রদেশ। রাজ্যের ৫২টি জেলার মধ্যে এখানে ৪৫টিই করোনা আক্রান্ত। গোটা দেশে আক্রান্তের ৭১ শতাংশই মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গের মতো ১০টি রাজ্যের, এমনই জানিয়েছে কেন্দ্র। তাই রাজ্যগুলিকে প্রয়োজনে কন্টেইনমেন্ট জোন গড়ে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন বুধবার দুপুরে ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, বিহার, পাঞ্জাব, ওড়িশার মতো আটটি রাজ্যের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেছেন। একইসঙ্গে করোনায় প্রতিদিন কত লোক সুস্থ হয়ে উঠছেন, কত মানুষ ভ্যাকসিন পাচ্ছেন, এসব বিষয় তুলে ধরে মানুষকে ভরসা দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী যতই ভরসা দিন, পরিস্থিতি যে মোটেই ভালো নয়, তা টের পাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এদিন এক অনুষ্ঠানে কাতর আবেদন করে বলেছেন, সারা বিশ্বের এখন আমাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ নীতিতে বিশ্বাস রেখে একটা সময়ে আমরা বিশ্বকে ৬ কোটি ৭০ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠিয়েছি। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে অক্সিজেন, ওষুধ থেকে শুরু করে ভারতের যা প্রয়োজন, তা অবিলম্বে দেওয়া হোক। কারণ, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দ্রুত সংক্রমণ রোখা এবং আক্রান্তের চিকিৎসা করা।