আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
শহরের বাসিন্দাদের দাবি, নিকাশি নালাগুলি আবর্জনায় ভর্তি। এগুলি এখন থেকেই পরিষ্কার করা উচিত। বর্ষা শুরু হলে নালা সাফাই করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সাফাই না হলে আবর্জনা জমে থাকায় নালার জল বের হতে পারবে না। ফলে জল রাস্তায় উঠে আসবে। সুতরাং এখন থেকেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা দরকার। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসন এখনও উদাসীন।
পুরসভার প্রশাসক তথা এগজিকিউটিভ অফিসার পাঁচুগোপাল রায় বলেন, ড্রেনে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুপারভাইজারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনায় অনেক কর্মী অসুস্থ। তা সত্ত্বেও সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। ইসলামপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার কংগ্রেসের মুজফ্ফর হুসেন বলেন, নিকাশি নালাগুলি আবর্জনায় ভর্তি। পুর প্রশাসনের উচিত, নালাগুলি নিয়মিত সাফাই করা, যাতে জল আটকে না থাকে। এখনই পদক্ষেপ না করলে বর্ষায় সমস্যা বাড়বে।
শহরের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশেই দু’টি হাইড্র্যান্ট রয়েছে। বিভিন্ন পাড়ার ছোট ছোট নালাগুলি ওই হাইড্র্যান্টের সঙ্গে যুক্ত। বর্ষার সময় বিভিন্ন ছোট নালার জল হাইড্র্যান্টে আসে। হাইড্র্যান্টের মাধ্যমে সেই জল শহরের বাইরে যায়। কিন্তু আবর্জনার কারণে ড্রেনগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। হাইড্র্যান্টের উপর দোকানপাট তৈরি হয়েছে। দোকানের আবর্জনা, প্লাস্টিকের বোতল, ক্যারিব্যাগ সমস্ত কিছুই ওই ড্রেনে ফেলা হচ্ছে। অথচ সেগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না। ফলে বর্ষার সময় জল বের হতে পারে না। এজন্য ড্রেনের জল রাস্তায় চলে আসে। আবার অনেকের বাড়িতে ড্রেনের জল ঢুকে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। পাশাপাশি ড্রেনের জমা জলে মশার বংশবৃদ্ধি হয়। দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে পরিবেশ দূষিত হয়। কয়েকটি এলাকায় নিকাশি নালাই তৈরি হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে দুই দশকেও পুর এলাকায় উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।