আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, রতুয়া গাজোল, বামনগোলায় শিলাবৃষ্টিতে ধান, পাট চাষের পাশাপাশি আম চাষেও ক্ষতি হয়েছে। স্বভাবতই করোনাকালে ফের কৃষকদের মাথায় হাত। সার্বিকভাবে মহকুমা প্রশাসন ও কৃষি দপ্তরের কর্তারা ব্লকে ব্লকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করছেন। তাতে মনে করা হচ্ছে একদিনের শিলাবৃষ্টির কারণে কয়েক কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হতে পারে।
চাঁচলের এসডিও সঞ্জয় পাল বলেন, চাঁচল মহকুমাজুড়ে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে কিছু বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোর রিপোর্ট আমরা তৈরি করছি। মানুষের সমস্যা যাতে না হয় সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওদের বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।
জেলা কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর স্নেহাশিস কুইলা বলেন, উত্তর মালদহে বেশ কয়েকটি ব্লকে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে ধান ও পাটের ক্ষতি হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তাদের রিপোর্ট দিতে বলেছি। তার পরেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে।
জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর কৃষ্ণেন্দু নন্দন বলেন, কৃষিজমি সংলগ্ন যেসব বাগান ছিল তাতে আমের ক্ষতি হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের রামপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইনাস বিবি বলেন, ঋণ করে ধান এবং পাট চাষ করেছিলাম। ভোরের বৃষ্টিতে সব তছনছ হয়ে গিয়েছে। চাঁচলের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান সে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও অবগত করা হবে।
এদিন ভোররাত থেকেই উত্তর মালদহের চাঁচল, হরিশচন্দ্রপুর, রতুয়ায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। ফলে ফসল জমিতে নুইয়ে পড়ে। মালদহে বোরো ধান জমিতে পেকে গিয়েছে। শিলাবৃষ্টির কারণে ধান ঝরে গিয়েছে বৃষ্টির জলে মিশে গিয়েছে। পাটের গাছের ডগা ভেঙে প্রচুর পাটের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শিলাবৃষ্টির তীব্রতার কারণে বহু বাড়ির টিনের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের মশালদহ মোহনপুরে ঝোড়ো হাওয়ায় বাড়ির চাল উড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেশকিছু গাছও ভেঙে পড়েছে। ভোররাত থেকেই ওই সব এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। উত্তর মালদহের গাজোল এবং বামনগোলা ব্লকেও ঝড় শিলাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে।