আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
জেলাশাসকের পাশাপাশি এদিন জেলাজুড়ে জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিক, মহকুমা শাসক, বিডিও, ডি আই, এস আইরা মিড ডে মিলের সামগ্রী বিলি খতিয়ে দেখতে স্কুলগুলি পরিদর্শন করেন। এই অভিযান জেলার প্রাথমিক, উচ্চ বিদ্যালয়, এসএসকে ও এমএসকেগুলিতে আগামী তিন দিন ধরে চলবে। তারপর অভিযুক্ত স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা প্রশাসন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে প্রশাসনের অভিযানকে সঠিক চোখে দেখছে না শিক্ষক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, প্রশাসন মিড ডে মিল বিলি করলে মান যাচাই করা হয় না। শিক্ষকরা বিলি করলে কেন যাচাই হবে?
জেলাশাসক সি মুরগান বলেন, আমরা তিন দিন ধরে জেলার স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল সঠিক ভাবে দেওয়া হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখব। এদিন আমি নিজে একাধিক ব্লকের স্কুলে গিয়েছিলাম। কিছু স্কুল বন্ধ ছিল। বেশকিছু স্কুলে বিলি করা চাল ডাল সহ একাধিক সামগ্রী ওজন করেছি। তাতে কম ছিল। এবিষয়ে কী পদক্ষেপ করা যায় সে ব্যাপারে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি সুকলাল হাঁসদা বলেন, প্রশাসনের অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই। গত মাসে প্রশাসনের তরফে মিড ডে মিলের সামগ্রী দেওয়া হচ্ছিল। এই মাস থেকে স্কুলের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন যখন সামগ্রী দিয়েছিল, তা এত নিম্নমানের যা খাবারের যোগ্য নয়। কিন্তু তখন প্রশাসনের তরফে কোনও অভিযান করা হয়নি। এখন কেন করা হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত সব সময় এই অভিযান চালানো।
নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ বলেন, প্রশাসনের উচিত সারা বছর ধরে এই অভিযান জারি রাখা। শুধু মাত্র শিক্ষকদের কেন বার বার দোষী হতে হবে। প্রশাসন দ্বারা যখন খাবার বিলি হয়, তখন কেন এই অভিযান হয় না।