আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
এই উদ্বেগের কথা জানিয়ে চা বাগান মালিকরা দ্রুত বাগান এলাকায় সরকারিভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টর চালুর দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি করোনার বেলাগাম সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি চা বাগানে সরকারিভাবে দু’টি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ারও দাবি তুলেছেন বাগান মালিকরা। প্রতিটি বাগানে সরকার থেকে ব্লিচিং পাউডার বিলিরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উত্তরবঙ্গে চা মালিকদের বৃহৎ সংগঠন ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ অব ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র সঞ্জয় বাগচি বলেন, গতবছর লকডাউনের আগে ও লকডাউন পরবর্তী সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ১৪ দিন আলাদা করে রাখার জন্য সরকার থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, রাজ্য সরকার এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার জন্য সরকারিভাবে আলাদা ভাবে কোনও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করেনি। আমরা এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন। এতে পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে বাগানের অন্য শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছি। ইতিমধ্যেই প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক ফিরছেন। তাই আমাদের দাবি, দ্রুত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকারিভাবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করা হোক। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে অসম সীমান্তের কুমারগ্রামের সংকোশ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ৩০২টি চা বাগান আছে। এখন চায়ের ভরা মরশুম চলছে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই চা বাগানগুলিতে ৫০ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে পাতা তোলার নির্দেশিকা জারি করেছে। শ্রমিক অভাবে চা গাছের চা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মাঝেরডাবরি বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, সেই আশঙ্কা সত্ত্বেও আমরা সরকারি নির্দেশিকা মেনে ৫০ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে পাতা তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা চালু না করলে বিপদ ঘনিয়ে আসতে সময় লাগবে না।
আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, চা মালিকদের এই প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানাই। রাজ্য সরকার যেভাবে বলবে সেভাবেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।